গুজরাটের আহমেদাবাদে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিধ্বস্ত হয় লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট। বিমানটি সোজা আঘাত হানে বি. জে. মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে। দুর্ঘটনায় পাঁচজন মেডিকেল শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও অনেকে। নিহতদের মধ্যে চারজন এমবিবিএস শিক্ষার্থী এবং একজন পোস্টগ্র্যাজুয়েট চিকিৎসক বলে নিশ্চিত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২৪২ জন আরোহী নিয়ে উড্ডয়ন করে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার (ফ্লাইট এআই১৭১)। কিন্তু ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেটি মেঘানীনগরের একটি আবাসিক এলাকায় বি.জে. মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাসের ওপর ভেঙে পড়ে।
দুর্ঘটনার সময় মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলের ছবি থেকে দেখা গেছে, ছাত্রাবাসের ক্যান্টিনের টেবিলে পড়ে আছে খাবারের থালা, গ্লাস, আর ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাচীর ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন উদ্বিগ্ন মানুষজন। প্লেনের একটি অংশ সরাসরি ঢুকে পড়েছে ছাত্রাবাসে।
দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধারকাজ শুরু করে দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল। আহতদের তড়িঘড়ি করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিমানের একটি অংশ ছাত্রাবাসের দেয়াল ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে।
দুর্ঘটনার পরে ভারতের চিকিৎসক সংগঠন এফএআইএমএ বলেছে, আমরা গভীরভাবে শোকাহত। দুর্ঘটনার ভয়াবহতা আরও বেড়েছে যখন জানতে পারলাম, প্লেনটি বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে আছড়ে পড়েছে এবং অনেক এমবিবিএস ছাত্রও আহত হয়েছেন। আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং যেকোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
এখন পর্যন্ত হতাহতের সঠিক সংখ্যা ও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে তল্লাশি ও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে সেনা, দমকল এবং মেডিকেল টিম কাজ করছে।
জানা গেছে, এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই১৭১ প্লেনটি ২৪২ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। যার মধ্যে ছিলেন দুজন পাইলট, ১০ জন কেবিন ক্রু ও ২৩০ জন যাত্রী। বিমানটি আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গেটউইক যাচ্ছিল।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আরোহীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, একজন কানাডিয়ান এবং সাতজন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন।