বিধ্বস্ত বিমানের পাইলটদের তথ্য প্রকাশ

গুজরাটের রাজধানী আহমেদাবাদে ২৪২ যাত্রী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানটির পাইলটদের তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন বা ডিজিসিএ।

ডিজিসিএকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বিমানটির পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল। তিনি একজন এলটিসি (যিনি অন্য পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেন) ছিলেন। তার ৮২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। তার সঙ্গে কো-পাইলট ছিলেন ক্লাইভ কুন্ডার। কো-পাইলটের বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল ১১০০ ঘণ্টা।

আহমেদাবাদ এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল জানিয়েছে, বিমানটি আহমেদাবাদ থেকে স্থানীয় সময় ১টা ৩৯ মিনিটে আকাশে ওড়ে। পাইলট বিপদ বার্তা দিয়েছিলেন, কিন্তু তারপরে বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) রুমের ডাকে প্লেনটি থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে গুজরাটের আহমেদাবাদে ২৪২ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় লন্ডনগামী বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের প্লেনটি। স্থানীয় বি.জে. মেডিকেল কলেজের একটি ছাত্রাবাসের ওপর বিধ্বস্ত হয় সেটি।

যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। বিমানটিতে আরও ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাতজন পর্তুগিজ ও একজন কানাডিয়ান নাগরিক ছিলেন।

এয়ার ইন্ডিয়া বলেছে, দুর্ঘটনার বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে ও যথাসময়ে বিস্তারিত তথ্য জানাবে তারা। সূত্র: বিবিসি বাংলা, এনডিটিভি

এদিকে, সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ওই বিমান দুর্ঘটনায় ‘কেউ বেঁচে নেই’ বলে বিবৃতি দেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই, আহমেদাবাদ পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে দুর্ঘটনায় একজন বেঁচে গেছেন। 

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ১১এ সিটে থাকা ওই যাত্রীকে ‘ঘুরে বেড়াতে’ দেখা যায়। তার সাদা টি-শার্ট এবং গাঢ় রঙের প্যান্ট সামান্য ঝলসে গেছে। তবে এখনো এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি বা এর সত্যতাও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।