পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক বন্যা ও বৃষ্টিতে নিহত বেড়ে ৩৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে একটি গ্রামে দাফনের জন্য কোনো লোক পাওয়া যাচ্ছে না।
শনিবার (১৬ আগস্ট) মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২৭ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ)। এছাড়া গিলগিট-বালতিস্তান (জিবি) এবং আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। জিবিতে অন্তত ১২ জন এবং আজাদ কাশ্মীরে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে নিহত বেড়ে ৩৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
আকস্মিক বন্যায় প্রদেশটির বেশন্ত্রি গ্রামে দাফনের জন্য কোনো লোক পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গেছে। এটি প্রদেশের বুনের জেলার পীর বাবা সাহেব উপজেলায় পড়েছে। বেশন্ত্রি গ্রামে আকস্মিক বন্যার খবর পেয়ে মসজিদের স্থানীয় ইমাম মওলানা আব্দুল সামাদ অন্য গ্রামবাসীর মতো তার পরিবারকেও দ্রুত বাড়ি খালি করার নির্দেশ দেন। তিনি তখন নফল নামাজ পড়ছিলেন। কিছুক্ষণ পর যখন তিনি বাড়ি ফিরে আসেন, তখন তিনি দেখতে পান আকস্মিক এ বন্যার পানির তোড়ে তার বাড়িসহ অনেকের বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২৭৯ জন পুরুষ, ১৫ জন নারী এবং ১৩ জন শিশু রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাত এবং আকস্মিক বন্যার কারণে এখন পর্যন্ত মোট ৭৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৬৩টি আংশিক এবং ১১টি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন জেলার মধ্যে রয়েছে সোয়াত, বুনের, বাজাউর, তোরঘর, মানসেহরা, শাঙলা এবং বটগ্রাম।
প্রদেশেটিতে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত জেলা বুনারের জরুরি উদ্ধারকারী বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলোর মধ্যে একটি হলো বেশন্ত্রি গ্রাম। সেখানে মানুষের জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা করার জন্য মতো কেউ ছিল না। এসব কাজে পাশের গ্রামের মানুষদের সাহায্যে করতে হয়েছে।
জরুরি উদ্ধার বিভাগ বা রেসকিউ ১১২২ বুনেরের কর্মকর্তা আব্দুল রহমান জানান, বেশন্ত্রি ছাড়াও অন্যান্য কয়েকটি গ্রামও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের উদ্ধারকারী দল ইতোমধ্যেই দুর্গত অঞ্চলে পৌঁছেছে। পাশাপাশি প্রদেশের অন্যান্য এলাকা থেকেও উদ্ধারকারী দল আসছে। সূত্র: বিবিসি, দ্য ডন