ভারতে পালিয়ে থাকা মানবতাবিরোধী অপরাধী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে গত সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যার্পণ অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ। গতকাল বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান তারা এ অনুরোধ পর্যালোচনা করছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে ভারত মূলত শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার অ-প্রতিশ্রুতি অবস্থান অব্যাহত রেখেছে। যদিও তারা আনুষ্ঠানিক প্রত্যার্পণের অনুরোধ পেয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করায় হাসিনাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে।
টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া বলেছে, হাসিনার রায়ের দিন রণধীর জসওয়াল যে মন্তব্য করেছিলেন। গতকালের মন্তব্যে সেটি থেকে কোনো পার্থক্য ছিল না।
ভারত এবারই প্রথমবার হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ অগ্রাহ্য করেছে, এমনটি নয়। এরআগেও তারা একই কাজ করেছে। ভবিষ্যতে তারা এমনটি করবে, যেহেতু বাংলাদেশে এখন একটি অন্তর্বর্তী সরকার রয়েছে।— বলেছে টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া।
জসওয়াল হাসিনার প্রত্যার্পণ অনুরোধ পর্যালোচনার পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণ—বিশেষ করে শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং এ বিষয়ে সব পক্ষের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত অন্তর্ভুক্তি এবং গণতন্ত্রের কথার মাধ্যমে বলার চেষ্টা করছে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার রয়েছে।
এছাড়া হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগকে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করছে বলেও ভারত মনে করে করে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া