দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে শীর্ষ নেতাদের মৃত্যুদণ্ডের ঘটনা নতুন নয়। শেখ হাসিনার আগে উপমহাদেশে আরও দুই সাবেক শাসক জুলফিকার আলী ভুট্টো ও পারভেজ মোশাররফ মৃত্যুদণ্ডের রায়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের।
ভুট্টো: রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হত্যার অভিযোগে ফাঁসি
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিপলস পার্টির প্রতিষ্ঠাতা জুলফিকার আলী ভুট্টো ১৯৭৭ সালে জিয়াউল হকের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। দুই বছর পর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে হত্যার দায়ে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

১৯৭৯ সালের ৪ এপ্রিল রাওয়ালপিন্ডি কারাগারে ভুট্টোর ফাঁসি কার্যকর হয়। এরপর দীর্ঘদিন ধরেই এ রায়কে বিতর্কিত বলে দাবি করে আসছিল তার পরিবার ও সমর্থকেরা। ২০২৪ সালে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট স্বীকার করে যে ভুট্টো ন্যায্য বিচার পাননি।
মোশাররফ: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের আদালত সাবেক সামরিক শাসক ও প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফকে রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেন।

২০০৭ সালে সংবিধান স্থগিত করে জরুরি অবস্থা জারির পর তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা হয়। তবে রায় ঘোষণার সময় মোশাররফ সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছিলেন এবং সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মারা যান।
সাদ্দাম: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঈদুল আজহার দিন সকালে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

১৯৭৯ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ইরাক শাসন করা সাদ্দামকে দুজাইল শহরে শিয়া জনগোষ্ঠী হত্যাকাণ্ড এবং হালাবজায় রাসায়নিক হামলার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়।
২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বাহিনীর আক্রমণের পর তিনি গ্রেপ্তার হন। বিচার শুরু হয় ২০০৫ সালে এবং ২০০৬ সালের নভেম্বরে রায় ঘোষণা করা হয়।
বিবাহবার্ষিকীর দিনে ফাঁসির রায় পেলেন শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা দেশটাকে তার বাপের মনে করতো: রিজভী 