এক টানা সাড়ে ১৫ বছর কক্শতায় থাকার পর অবশেষে বিদায় নিতে হলো শেখ হাসিনাকে। সেটা বার যেন তেন নয় গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে। একগুঁয়েমি, অহংকার ও অতি আত্মবিশ্বাস কারনে তার তপন হয়েছে। চীন সফর শেষে গত ১৪ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘অনেকেই বলেছে প্রধানমন্ত্রী পালিয়েছে, শেখ হাসিনা পালায় না।’
নির্বাচন বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তা এম সাখাওয়াত হোসেন একটি গণমাধ্যমে লিখেছেন, ‘দেশে আজকে যা ঘটল, এটাই হওয়ার কথা ছিল। গণ-অভ্যুত্থান কখনো ঠেকানো যায় না। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন সহজেই সমাধান করা যেত।
যেসব কারণে শেখ হাসিনার পতন এর ম্যে উল্লেখযোগ হলো-
১. আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়া। ২.আওয়ামী লীগের নিজেদের কোন্দল। ৩.কাছের লোকদের অতিবিশ্বাস করা। ৪. একতরফা নির্বাচন করে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বকে শত্রু বানিয়ে ফেলা। ৫. ছাত্রদের কোটার দাবি না মানা। ৬. শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি না মানা। ৭. বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় না নেওয়া। ৮. সিমাহীন দুর্নীতি। ৯. সঠিক বিচার করতে না পারা। ১০. কথায় কথায় মিথ্যা বলা। ১১. অসংখ্য গুম, খুন। ১২. সতি কথা বললে মানুষদের রাজাকার বানিয়ে ফেলা। ১৩. জামায়াত নিষিদ্ধ করা। ১৪. গণতন্ত্র না থাকা।
একক কর্তৃত্বের শাসনের কারণে শেখ হাসিনার সরকার সম্পূর্ণভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। ফলে সোমবার (৫ আগস্ট) কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার ঘটনা ঘটে। পতনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি হুঙ্কার দিয়েছেন। তবে তার পতনের আগে তার নেতা দেশ ত্যাগ করায় অনেকটা একা হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনেও সেটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এখন শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের নেতাদেরই কেউ কেউ মনে করছেন, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে নিজের এত দিনের রাজনৈতিক অর্জন ধ্বংস করলেন। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া দল আওয়ামী লীগের অস্তিত্বকেও হুমকিতে ফেললেন।
