প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা, ক্যাপিটাল সিটি সরকার, মন্ত্রণালয়ের কলেবর কমিয়ে আনা, সরকারি সেবার প্রাপ্যতা নিয়ে গণশুনানির আয়োজনসহ একগুচ্ছ নতুন ধারণা দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছেন কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেয় সংস্কার কমিশন। পরে সেখানে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন মুয়ীদ চৌধুরী।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া এবং সরকারের কার্যপরিধি সুবিস্তৃত হওয়ার ফলে বর্তমান প্রশাসনিক ও স্থানীয় সরকার কাঠামো যথেষ্ট বলে প্রতীয়মান হয় না। অপরদিকে, এককেন্দ্রিক ব্যবস্থায় মন্ত্রণালয় পর্যায়ে খুঁটিনাটি বহু কাজ সম্পাদন করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ক্ষমতার প্রত্যর্পণ (ডেলিগেশন) বিবেচনায় দেশে বিশাল জনসংখ্যার পরিষেবা ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণ করার লক্ষ্যে দেশের পুরাতন চারটি বিভাগের সীমানাকে চারটি প্রদেশে বিভক্ত করে প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। এর ফলে এককেন্দ্রিক সরকারের পক্ষে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার সুযোগ হ্রাস পাবে। পাশাপাশি রাজধানী ঢাকা শহরের ওপর চাপ হ্রাস পাবে।
এছাড়া সরকারের মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সংখ্যা কমানোর সুপারিশ করেছে। সুপারিশে মন্ত্রণালয় ২৫টি ও অধিদপ্তর ৪৪টি করার প্রস্তাব দিয়েছে সংস্কার কমিশন।
অন্যদিকে ঢাকা মহানগরীর জনসংখ্যা ও পরিষেবার ব্যাপ্তির কথা বিবেচনায় রেখে নয়া দিল্লির মতো ফেডারেল সরকার নিয়ন্ত্রিত ‘ক্যাপিটাল সিটি গভর্নমেন্ট’ বা ‘রাজধানী মহানগর সরকার’ গঠনের সুপারিশ করেছে কমিশন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্যান্য প্রদেশের মতোই এখানেও নির্বাচিত আইন সভা ও স্থানীয় সরকার থাকবে। ঢাকা মহানগরী, টঙ্গী, কেরানীগঞ্জ, সাভার ও নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে ‘ক্যাপিটাল সিটি গভর্নমেন্ট’-এর আয়তন নির্ধারণ করা যেতে পারে।
পৌরসভার গুরুত্ব বিবেচনায় স্থানীয় সরকার হিসেবে একে আরও শক্তিশালী করে তুলতে সুপারিশ করেছে কমিশন। এছাড়া স্থানীয় সরকার হিসেবে উপজেলা পরিষদকে আরও শক্তিশালী করার জন্য সুপারিশ এবং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদটি বাতিলের প্রস্তাব করেছে কমিশন।
