ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ইফতারের দোয়া ও ফজিলত

রোজাদারের জন্য দুটি বিশেষ আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে। একটি হল, ইফতারের সময়। অপরটি হল, যখন সে তার রবের সাথে সাক্ষাৎ করবে (আর তিনি তাকে বিশাল পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত করবেন)।

আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৭:১৩ পিএম

সারা দিন রোজা রাখার পর যে পানাহারের মাধ্যমে রোজার সমাপ্তি করা হয় সেটাকে ইফতার বলে। ইফতারের মুহূর্ত রোজাদারের জন্য পরম আনন্দের। ইফতারের বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে।

ইফতারের ফজিলত
 

আল্লাহর সন্তুষ্টি মুমিনের জীবনের লক্ষ্য। আনুগত্যে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন, তাই মুমিনেরা ইবাদতে আনন্দ লাভ করেন। নবিজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
 
রোজাদারের জন্য দুটি বিশেষ আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে। একটি হল, ইফতারের সময়। অপরটি হল, যখন সে তার রবের সাথে সাক্ষাৎ করবে (আর তিনি তাকে বিশাল পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত করবেন)। মুসলিম: ১১৫১
 

ইফতারের দোয়া
 
بسم الله اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা আফতারতু।
 

অর্থ: হে আল্লাহ, আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিকের মাধ্যমে ইফতার করছি। (আবু দাউদ ২৩৫৮)
 
 
ইফতারের সময় দোয়া কবুল হয়
 

পুরো রমজানই রহমত-বরকতের মাস। তবে কিছু কিছু মুহূর্তে বান্দার প্রতি রহমত প্রবল বেগে ধাবিত হয়। ইফতারের সময়টিও এমন। তাই এ সময়ের দুয়া আল্লাহ পাক বিশেষভাবে কবুল করেন।

 

নবীজী বলেন, ইফতারের সময় রোজাদারের একটি দুয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। অর্থাৎ কমপক্ষে একটি দুয়া অবশ্যই কবুল হয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৭৫৩) 
 

হজরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রসুল (স) ইরশাদ করেছেন, 
 
তিন ব্যক্তির দোয়া ব্যর্থ হয় না। এক. ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া, দুই. ন্যায়বিচারক বাদশাহর দোয়া। তিন. মজলুমের দোয়া। (মুসনাদে আহমদ-৮৪৭০)
 

এজন্য ইফতারের একটি আদব হচ্ছে, সময় হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ইফতার প্রস্তুত করে আল্লাহমুখি হওয়া, বেশি বেশি দুয়া-দরুদ পড়া, তওবা-ইস্তিগফার করা। আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা।

AA
আরও পড়ুন