জিয়াউর রহমান যেভাবে হয়ে ওঠেন গণমানুষের নেতা

আপডেট : ৩০ মে ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম

স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। মেজর জিয়ার মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততার বিষয়টি জানতে পারে দিশেহারা জাতি। 

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী সরকারের নিয়মিত সেনাবাহিনী গঠিত হওয়ার পর এর অন্যতম ব্রিগেড ‘জেড ফোর্স’র প্রধান হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমান নিজের সাহসিকতা ও সততায় মুগ্ধ করেছিলেন সবাইকে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধে অবদানের কারণে তাকে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেওয়া হয়।

১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের পর, তৎকালীন রাজনীতি ও সেনাবাহিনীতে নানা অঘটন এবং বিশৃঙ্খলার মধ্যে জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে ১৯৭৭ সালে ক্ষমতায় আসেন জেনারেল জিয়া। বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন যুগের সূচনা করেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। তার শাসনামলে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রে মৌলিক পরিবর্তন আনার মধ্য দিয়ে গণমানুষের নেতা হয়ে ওঠেন জিয়া।

১৯৩৬ সালে বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়ির এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম জিয়াউর রহমানের। রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্বে থাকাকালেই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে কিছু বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে নিহত হন সৎ ও সাহসী রাষ্ট্রনায়ক জিয়া। তার জানাজায় লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি আজও স্মরণীয় দেশের ইতিহাসে।

তার হত্যার আসল রহস্য আজও অজানা। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, জনতার দাবির মুখে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হন জিয়াউর রহমান। তার সততা, দেশপ্রেম ও অনাড়ম্বর জীবন যাপন একালের তরুণদের অনুকরণীয় হতে পারে।
 
বিএনপি কি তার প্রতিষ্ঠাতার আদর্শে এখনও অবিচল? এমন প্রশ্নের জবাবে হাফিজ উদ্দিন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা কখনও জিয়ার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবে না।
 
গণমানুষের নেতা হয়ে ওঠা জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় থাকা যদি দীর্ঘায়িত হতো তবে দেশের ইতিহাস বদলে যেতে পারত বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।

RK
আরও পড়ুন