বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর ও ছয় ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধে বুধবার (১৩ আগস্ট) দেশের সব ব্যাংকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়।
১২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৫ কোটি ৪০ লাখ ডলারদুদক সূত্র জানিয়েছে, এসব হিসাব থেকে অর্থ পাচার, জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জন ও ঋণ কেলেঙ্কারির প্রমাণ খোঁজা হবে।
তালিকায় থাকা সাবেক গভর্নররা হলেন- ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার। গত সাড়ে ১৫ বছরে এ তিনজন বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তাদের মেয়াদে ব্যাংক খাতে একাধিক দুর্নীতি, ঋণ কেলেঙ্কারি ও রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটে।
ড. আতিউর রহমানের সময়ে সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেঙ্কারি, বেসিক ব্যাংকের জালিয়াতি ও ২০১৬ সালের রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটে, যার পর তিনি পদত্যাগ করেন। ফজলে কবিরের সময়ে ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক দখল, ঋণখেলাপি গোপন এবং ৯ শতাংশ সুদে ঋণ নীতি চালু হয়, যা থেকে অর্থ পাচারের অভিযোগ ওঠে। আব্দুর রউফ তালুকদারের সময়ে ঋণখেলাপিদের ছাড়, বেনামে ঋণ বিতরণ এবং এস আলম গ্রুপকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ছাপানো টাকা ঋণের নামে দেওয়া হয়।
‘হাজার কোটি টাকার বেশি পাচার হওয়া ১১টি কেইস চিহ্নিত’তলব করা ছয় সাবেক ডেপুটি গভর্নর হলেন- সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী, মাসুদ বিশ্বাস, এস এম মনিরুজ্জামান, আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, কাজী ছাইদুর রহমান ও আবু ফরাহ মোহাম্মদ নাছের। এর মধ্যে এস কে সুর চৌধুরী ও মাসুদ বিশ্বাস বর্তমানে জেলহাজতে আছেন।
