ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

১৪ হাজার টাকায় মালয়েশিয়ায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ!

আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৪৩ পিএম

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য মালয়েশিয়া এবার বিদেশিদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি-পিআর) সুযোগ দিচ্ছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনো দেশের যোগ্য নাগরিক মাত্র ১৪ হাজার টাকায় এই সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

পিআর অনুমতি পেলে বিদেশিরা মালয়েশিয়ায় অবাধে বসবাস, চাকরি ও শিক্ষার সুযোগ পাবেন। যদিও এটি পূর্ণ নাগরিকত্ব নয় এবং ভোটাধিকার পাওয়া যাবে না, তবে নাগরিকদের মতোই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও ব্যবসার সুবিধা ভোগ করা যাবে। এটি অস্থায়ী ভিসার তুলনায় অনেক বেশি স্বাধীনতা নিশ্চিত করে।

‘রেসিডেন্স পাস’ হলো দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের একটি বিশেষ অনুমতি, যা মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন রেগুলেশনস ১৯৬৩-এর ১৬এ ধারা অনুযায়ী দেওয়া হয়। এই পাস নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরির বিদেশিদের দেওয়া হয়, যারা দীর্ঘদিন দেশটিতে বসবাস করছেন বা পারিবারিকভাবে সংশ্লিষ্ট।

কে কে আবেদন করতে পারবেন

* মালয়েশিয়ার নাগরিকের স্বামী/স্ত্রী এবং ১৮ বছরের কম বয়সী সন্তান

* মালয়েশিয়ান নাগরিকের বাবা-মা ও শ্বশুর-শাশুড়ি

* স্থায়ী বাসিন্দার স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান

* প্রাক্তন মালয়েশিয়ান নাগরিক (যারা নাগরিকত্ব হারিয়েছেন বা ত্যাগ করেছেন)

আবেদনের শর্তাবলি

* পাসপোর্টে কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে।

* আবেদনকারীকে বৈধ দীর্ঘমেয়াদি ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করতে হবে।

* নাগরিকের পরিবারের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩ বছর, আর পিআরধারীর পরিবারের ক্ষেত্রে ৫ বছর বসবাসের প্রমাণ দিতে হবে।

* আবেদন অবশ্যই একজন ২১ বছরের বেশি বয়সী মালয়েশিয়ান নাগরিকের স্পনসরশিপে জমা দিতে হবে।

* আবেদন জমা দেওয়ার সময় আবেদনকারী ও স্পনসরকে ইমিগ্রেশন অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে।

ফি ও মেয়াদ

এই রেসিডেন্স পাসের পাঁচ বছরের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ৫০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ হাজার ৩৫০ টাকা।

এই পাসধারীরা আলাদাভাবে নতুন কোনো ভিসা বা অনুমতির জন্য আবেদন ছাড়াই মালয়েশিয়ায় চাকরি, ব্যবসা বা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন (সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের শর্ত অনুযায়ী)।

তথ্যসূত্র ও আবেদন পদ্ধতি

আবেদনকারীদের মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত নিয়মাবলি জেনে আবেদন জমা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এই সুযোগকে অনেকেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি নিরাপদ ও স্থিতিশীল জীবনযাপনের একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন।

NB/FJ
আরও পড়ুন