তারকাদের নাম ও চেহারা ব্যবহার করে অনুমতি ছাড়াই এআই-ভিত্তিক ‘ফ্লার্টি চ্যাটবট’ তৈরি করেছে মেটা। এমন অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক ও সমালোচনা। টেইলর সুইফট, সেলেনা গোমেজ, অ্যান হ্যাথাওয়ে ও স্কারলেট জোহানসনের মতো জনপ্রিয় তারকাদের নাম জড়িয়েছে এই ঘটনায়।
রয়টার্সের অনুসন্ধান বলছে, মেটার একজন কর্মী নিজেই অন্তত তিনটি এআই বট তৈরি করেছেন, যার মধ্যে দুটি টেইলর সুইফটকে নিয়ে। এসব বট অনেক সময় নিজেদের আসল তারকা হিসেবে পরিচয় দিয়েছে এবং ব্যবহারকারীদের সঙ্গে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথোপকথন চালিয়েছে।
বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হলো, কিছু বট প্রাপ্তবয়স্ক তারকাদের অন্তরঙ্গ ছবি তৈরি করেছে। এমনকি শিশু তারকাদের নিয়েও কনটেন্ট তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মেটার মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন এক বিবৃতিতে বলেছেন, এসব কনটেন্ট প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার বিরুদ্ধে। ভুল প্রয়োগ ও পর্যাপ্ত তত্ত্বাবধানের অভাবেই এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যদিও কিছু বটকে ‘প্যারোডি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তবে সব ক্ষেত্রে তা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ ছিল না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির নাম, চেহারা বা পরিচিতি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে হলে তার অনুমতি প্রয়োজন। ফলে মেটার এই উদ্যোগ আইনি জটিলতায় পড়তে পারে।
অভিনেত্রী অ্যান হ্যাথাওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেটা ও অন্যান্য এআই প্ল্যাটফর্মে তার অন্তরঙ্গ ছবি তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি আইনি পদক্ষেপ বিবেচনা করছেন।
এদিকে টেইলর সুইফট ও সেলেনা গোমেজের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন চ্যাটবট ভক্তদের সঙ্গে মিথ্যা ঘনিষ্ঠতার অনুভূতি তৈরি করে, যা তারকাদের জন্য গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে কণ্ঠস্বর, চেহারা ও পরিচিতি নকল করার বিরুদ্ধে শক্তিশালী আইন প্রণয়নের দাবি জোরালো হচ্ছে।
মেটার এই বিতর্কিত পদক্ষেপ শুধু নৈতিকতা ও গোপনীয়তার প্রশ্নই তোলে না, বরং আইন ও প্রযুক্তির সীমারেখা নিয়েও নতুন আলোচনা তৈরি করেছে। তারকাদের ব্যক্তিগত সত্তা ও পরিচিতি রক্ষায় সংবেদনশীল ও দায়বদ্ধ আচরণ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এখন সময়ের দাবি। সূত্র: রয়টার্স
অ্যানড্রয়েডের সিক্রেট কোড জানলেই মিলবে লুকানো তথ্য ও ফিচার
শীঘ্রই আসছে ঢাকায় নির্মিত গেম ‘ওভার অ্যান্ড আউট!’ 