চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। সংঘর্ষে আহত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. কামাল উদ্দীনকে এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
কমিটিতে সিন্ডিকেট সদস্য, সাবেক ভিপি ও স্থানীয় বিএনপি নেতা এসএম ফজলুল হকসহ অন্যান্য ছাত্র প্রতিনিধিরা রয়েছেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চবির পূর্ব নির্ধারিত সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। স্থগিত হওয়া পরীক্ষার নতুন তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ জানান, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে প্রশাসনিক ভবনে দাপ্তরিক কাজ চলছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ক্লাস চলবে কি না, তা পরে জানানো হবে।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কাওছার মোহাম্মদ হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় এ কোনো মামলা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খরচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করছে।
এর আগে শনিবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে রোববার (৩১ আগস্ট) বেলা ৩টা পর্যন্ত দুই দফায় চবি ক্যাম্পাস সংলগ্ন জোবরা গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। একটি বাসার দারোয়ান এক ছাত্রীকে মারধর করার ঘটনার জেরে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
চবিতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫০