ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

এয়ার টিকিট সিন্ডিকেটের ১৩ ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল

আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৮ পিএম

১৩টি ট্রাভেল এজেন্সি তাদের এয়ার টিকিটের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করা ও সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় নিবন্ধন বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ এ কে এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত পৃথক আদেশে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।

সরকার জানিয়েছে, যাত্রীসাধারণের স্বার্থ রক্ষায় আগাম সতর্কবার্তা দেওয়ার পরও যদি কোনো ট্রাভেল এজেন্সি, জিডিএস, জিএসএ বা এয়ারলাইন্স টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাশাপাশি বাতিল হওয়া এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে কোনো ধরনের টিকিট ক্রয়-বিক্রয় বা ব্যবসায়িক লেনদেন না করার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এজেন্সির নিবন্ধন বাতিলে রয়েছে, কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনাল (প্রা.) লিমিটেড, সিটিকম ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্সি (প্রা.) লিমিটেড, আরবিসি ইন্টারন্যাশনাল, মেঘা ইন্টারন্যাশনাল এয়ার সার্ভিস, মাদার লাভ এয়ার সার্ভিস, জে এস ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরস, হাসেম এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, ফোর ট্রিপ লিমিটেড, কিং এয়ার এভিয়েশন, বিপ্লব ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্ট, সাদিয়া ট্রাভেলস, আত-তাইয়ারা ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল ও এন এম এস এস ইন্টারন্যাশনাল।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এজেন্সিগুলো ‘গ্রুপ বুকিং’-এর নামে জনপ্রিয় রুটের টিকিট ব্লক করে রাখতো এবং পরবর্তীতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপসহ সাব-এজেন্টদের মাধ্যমে উচ্চ মূল্যে টিকিট বিক্রি করতো। এতে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অস্বাভাবিক দামে টিকিট বিক্রির মাধ্যমে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করতো তারা।

বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অনুযায়ী  ১৩টি এজেন্সিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিলো। কাগজপত্র যাচাই করে অনিয়ম প্রমাণিত হয়।

MH/FJ
আরও পড়ুন