জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন-ছাত্রফ্রন্টের ‘সংশপ্তক পর্ষদ’।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাকসু নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ন্যক্কারজনক ভূমিকা ও ছাত্র শিবিরকে ভোট জালিয়াতিতে সহযোগিতার প্রতিবাদে তারা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়।
সংশপ্তক পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ছাত্রী সংস্থার মেয়েদের জাল ভোটের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে ১৫ নম্বর ছাত্রী হল কেন্দ্রে। ভোট দেয়ার জায়গায় পূরণকৃত ব্যালট পাওয়া গেছে। শহীদ সালাম বরকত হলে ভোটার সংখ্যা ২৯৯ জন হলেও ভোটকেন্দ্রে মোট ব্যালট পেপার গিয়েছে ৪০০টি।
ভোটার তালিকায় ছবি যুক্ত করা হয়নি। যে কেউ এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছে। রফিক-জব্বার হলে তার প্রমাণও মিলেছে। প্রতিটি হলেই বিভিন্ন সংগঠনের বহিরাগতদের অবস্থান দেখা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ পরিলক্ষিত হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য অভিযোগও আমরা দেখতে পেয়েছি। এমতাবস্থায়, সংশপ্তক পর্ষদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছে।
সংশপ্তক পর্ষদের পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে জাকসুতে অংশগ্রহণকারী সকল প্যানেল ও শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, আসুন সকল ভেদাভেদ ভুলে এই অনিয়মের প্রশাসন ও ছাত্র শিবিরের এই ভোট ডাকাতির চক্রান্তকে সকলে একতাবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করি।
নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী না দিলেও প্যানেলের পক্ষ থেকে জিএস পদে জাহিদুল ইসলাম ঈমন, এজিএস-নারী পদে সোহাগী সামিয়া জান্নাতুল ফেরদৌস লড়াই করছেন।
এর আগে, বিকেল ৪টার দিকে কারচুপিসহ নানা অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। এছাড়া ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) সমর্থিত ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেল নির্বাচনে অনাস্থা জানায়।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৮৯৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন। বিভিন্ন পদে মোট ১৭৮ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এরমধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১০ জন। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদে প্রায় ৫৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন ১০২ জন। ফলে মোট প্রার্থীর সংখ্যা কমেছে।
ভোটে ২১টি হলে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রদের ১১টি এবং ছাত্রীদের ১০টি হলে রয়েছে ভোটকেন্দ্র। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ২১টি হলে ২১ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৬৭ জন পোলিং অফিসার এবং ৬৭ জন পোলিং অফিসার সহায়ক হিসাবে কাজ করেন।
নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপিপন্থী ৩ শিক্ষক
জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল প্যানেলের ভোট বর্জন
শেষ হলো জাকসুর ভোটগ্রহণ 