যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কার্যক্রম আংশিকভাবে শাটডাউন রয়েছে। বিশ্ববাজারে তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়েছে। বুধবার (১ অক্টোবর) সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং ডলারের মান কমেছে। নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে সোনার প্রতি ঝোঁক বেড়ে যাওয়ায় এই ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। খবর রয়টার্স।
অর্থায়ন বিল নিয়ে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের অচলাবস্থা কাটাতে না পারায় মার্কিন সরকার কার্যত অচল হয়ে পড়ে। অর্থবিলে সমঝোতা না হওয়ায় সরকারি দপ্তরগুলো বন্ধ। বহু ফেডারেল কর্মী সাময়িক ছুটিতে। যার প্রভাব পড়ছে শেয়ার বাজারসহ অন্যান্য খাতে।
বুধবার এস অ্যান্ড পি (S&P) ৫০০ ফিউচার এবং নাসডক ফিউচার উভয়েরই দাম শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। সোনার দাম আউন্স প্রতি তিন হাজার ৮৭৫ ডলারে পৌঁছেছে, যা টানা তৃতীয় সেশনের জন্য রেকর্ড সর্বোচ্চ। ইউরোপীয় ফিউচারের দামে খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি।
ক্যাপিটাল ডটকমের একজন জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক কাইল রোদ্দা বলেন, সাধারণত বাজার বন্ধ থাকা অর্থহীন। প্রকৃতপক্ষে, ২০১৮-২০১৯ সালের এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা শাটডাউনে ওয়াল স্ট্রিট উত্থান দেখেছিল।
তবে রোদ্দা আরও বলেন, বাজার বন্ধের জন্য সমস্যা দুটি, যার একটি হল অ-কৃষি খাতে বেতনের তথ্য প্রকাশে বিলম্ব। অন্যটি হলো-মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্থায়ীভাবে কর্মীদের ছাঁটাই করার হুমকিও দিয়েছেন। ফলে শ্রম বাজারে ধাক্কা আসবে।
প্রসঙ্গত, অর্থায়ন বিল নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কার্যক্রম আংশিকভাবে শাটডাউন রয়েছে। ২০২৫ অর্থবছরের মেয়াদ শেষে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে অর্থায়নের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এর ফলে অপ্রয়োজনীয় খাতের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও জরুরি খাত যেমন সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের কাজ চালু থাকবে। তবে তারা আপাতত কোনো বেতন পাচ্ছেন না।
