ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

জুমার দিন আসরের পর বিশেষ আমল

আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৯ এএম

ইসলামে জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আরবি ‘জুমা’ শব্দের অর্থ হলো একত্রিত হওয়া। এই দিনকে ঘিরে অসংখ্য ফজিলত ও বিশেষ আমলের বর্ণনা হাদিসে পাওয়া যায়। হাদিসে এসেছে, জুমার দিনে একটি ক্ষণ রয়েছে, যখন আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তিনি তা কবুল করেন।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন কোনো মুসলিম বান্দা নামাজরত অবস্থায় আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে আল্লাহ অবশ্যই তা দান করেন।’
(বুখারি: ৯৩৫, মুসলিম: ৮৫২)

মুসলিম শরিফে আরও উল্লেখ আছে, এই সময়টি খুব অল্পকাল ধরে থাকে। (মুসলিম: ৮৫২)

হাদিসে বলা হয়েছে, এই বিশেষ মুহূর্তটি আসরের পর দিনের শেষ ভাগে থাকে।

রসুল ﷺ বলেছেন: ‘জুমার দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যখন বান্দা আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তিনি তা কবুল করেন। তোমরা এ সময়টিকে আসরের পর সন্ধ্যার আগে খুঁজে নাও।’
(আবু দাউদ: ১০৪৮, মুস্তাদরাকে হাকেম: ১০৩২)

আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, ‘জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যাতে বান্দার দোয়া কবুল হয়।’ (মুসান্নাফ: ৫৫৮৮)

জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘জুমার দিন বারো ভাগের একটি ভাগে এই দোয়া কবুলের সময় পাওয়া যায়, যা আসরের পরের শেষ অংশে থাকে।’(আবু দাউদ: ১০৪৮)

আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিবের আগ পর্যন্ত বেশি বেশি দোয়া করা। ইস্তেগফার, দরুদ শরিফ পাঠ ও কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে এই সময়কে কাজে লাগানো। নিজের, পরিবারের, সমাজ ও উম্মাহর কল্যাণে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা।

HN
আরও পড়ুন