ঢাকার ধামরাইয়ে এক অসম প্রেমের ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিয়ের দাবিতে ১৯ বছরের এক তরুণের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন ৪৫ বছরের এক নারী পোশাক শ্রমিক। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাইচাল গ্রামে পোশাক শ্রমিক মো. সজীব হোসেনের বাড়িতে অনশন শুরু করেন ওই নারী।
ওই নারীর বাড়ি ধামরাই উপজেলার নান্নার ইউনিয়ন সদরে। তিনি সুতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা এলাকায় অবস্থিত মাহমুদা গ্রুপের রাইজিং বিডি পোশাক কারখানায় কর্মরত। তার একমাত্র ছেলে মানিকগঞ্জের একটি কলেজে অধ্যয়নরত বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অনশনরত নারী ও তরুণ সজীব হোসেন একই পোশাক কারখানায় প্রায় চার বছর ধরে চাকরি করেন। কর্মস্থলের সম্পর্ক থেকেই তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তারা বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্ট ও বন্ধুবান্ধবদের বাসায় বেড়াতে যান এবং শারীরিক সম্পর্কও গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ।
সড়কের কাজ শুরু না হলে ধান চাষ করবেন হাসনাত আবদুল্লাহনারী শ্রমিকের দাবি, বিয়ের আশ্বাসে সজীবের হাতে তিনি ৩ লাখ টাকা তুলে দেন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও সজীব বিয়ে না করে নানা অজুহাতে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছিলেন।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে নিরুপায় হয়ে ওই নারী সজীবের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে সজীব বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরিবারের সদস্যরা প্রথমে নারীটিকে বাড়ি থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করলেও তিনি বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করার ঘোষণা দেন।
সজীবের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, তাদের ছেলে যদি বিয়ে করতে রাজি হয়, তাতে পরিবারের কোনো আপত্তি নেই। তবে সজীব এখন বাড়িতে না থাকায় নারীটিকে রাখা সম্ভব নয় বলে তারা জানিয়েছেন।
বিয়ের দাবিতে অনশনরত ওই নারী বলেন, সজীব আমার সঙ্গে সব জেনে-শুনেই চার বছর প্রেম করেছে। আমার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়েছে, এখন বিয়ে না করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমি বিয়ে না করে এখান থেকে যাব না। ওকে এমন শিক্ষা দেব যাতে ভবিষ্যতে কোনো পুরুষ এমন প্রতারণা করার সাহস না পায়।
এ বিষয়ে কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
