ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বিএনপির তিস্তা রক্ষা কর্মসূচিকে আ.লীগের মিছিল বলে প্রচার

আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১৫ পিএম

জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ রয়েছে। কিন্তু অনলাইনে দলটির পক্ষে প্রচার থেমে নেই। তার মধ্যে পুরোনো কর্মসূচির ভিডিও নতুন দাবি করে ছড়ানো হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিন্ন ধরনের কর্মসূচিকেও আওয়ামী লীগের বলে প্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর নজিরও দেখা যাচ্ছে।

৭ নভেম্বর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যায়, রাতের অন্ধকারে অসংখ্য মানুষ মশাল হাতে সমবেত হয়েছেন।

ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, আরেকটি যুদ্ধ হবে, স্বাধীন হবে মাতৃভূমি বাংলাদেশ। ১৩ তারিখ লকডাউন সফল করতে ঢাকার পথে রওনা। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয়তু দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপা।

 

ভিডিওটি ঘিরে অনেকেই দাবি করছেন, এটি আওয়ামী লীগের ডাকে আসন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীমুখী মশালমিছিলের দৃশ্য।

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, এটি সাম্প্রতিক সময়ে গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের মশাল মিছিলের নয়; বরং গত অক্টোবর মাসে তিস্তা নদী রক্ষার দাবিতে বিএনপির আয়োজনে তিস্তাপাড়ের মানুষদের মশাল হাতে আন্দোলনের ছবিকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে দ্য ডেইলি স্টার বাংলার ওয়েবসাইটে গত ১৬ অক্টোবর ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরের মানুষ’ শিরোনামে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে সংযুক্ত ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ছবির মিল রয়েছে।

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেদিন সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা নদীর উভয় তীরে একযোগে মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করেন তিস্তাপাড়ের মানুষ। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই নিজস্ব অর্থায়নে ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা’র কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন তারা। ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’-এর ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলা-লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধার তিস্তাপাড়ের কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীরা মশাল হাতে একযোগে স্লোগান দেন- ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’।

সুতরাং এই মশাল- সমাবেশ আসলে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ আন্দোলনের অংশ, এর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতার দাবিটি ঠিক নয়।

SN
আরও পড়ুন