ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

হাসিনার প্রতিষ্ঠিত ট্রাইব্যুনালে সে নিজেই আসামি

আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৯ এএম

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, আইনজীবী প্যানেল এবং তদন্ত সংস্থা। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দুটি ট্রাইব্যুনালে মোট ৬ জনের ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়। তারা হলেন—মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, মীর কাসেম আলী ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।

১৫ বছর পর নিজের প্রতিষ্ঠিত ট্রাইব্যুনালে বিচারের রায়ে মুখোমুখি হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেদিন আসামিপক্ষে দায়িত্ব পালনকারী আইনজীবীরাই আজকে প্রসিকিউশনের দায়িত্বে আছেন। শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক থাকায় নিজে থেকে আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারেননি। রাষ্ট্র নিজ উদ্যোগে তাদের পক্ষে আইনি লড়ায়ের জন্য আইনজীবী নিয়োগ করেছে।

নিজের প্রতিষ্ঠিত ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচার প্রসঙ্গে প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম বলেন, ‘‘এটাই প্রকৃতির বিচার, যে শেখ হাসিনা নিজের হাতেই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল ও আইন করেছিলেন। এসব করার পর তিনি নিজেই মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। সেখানেই তার বিচার হলো। এটা সবার জন্যই একটা শিক্ষা হয়ে রবে বলে আমি মনে করি।’

নিজের গড়া আদালতেই নিজের বিচার- এমন উদাহরণ অত্যন্ত বিরল। ইতিহাসে এমন কিছু ঘটনা খুব কমই আছে—যেখানে কোনও নেতা নিজে যে ট্রাইব্যুনাল/আদালত প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন, পরে সেই একই ট্রাইব্যুনালে তাকেই বিচারের মুখোমুখি হতে হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের ৩৯ বছর পর যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল আইনজীবী প্যানেল এবং তদন্ত সংস্থা গঠন করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তাদের নির্বাচনের ইশতেহার মেনে ট্রাইব্যুনাল গঠন ও একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করা হয়। ১৫ বছর পর একই ট্র্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হবে।

SN
আরও পড়ুন