খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকার এ, বি ও সি জোন দীর্ঘ ৪ যুগেরও বেশি সময় যাবৎ একই থানা ও একই নির্বাচনি আসনে অন্তর্ভুক্ত ছিল। পাশাপাশি দু'টি ওয়ার্ড একই সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের দুই ভাগে বিভক্তির সময় খিলগাঁওকে বিভক্ত করে উত্তর দক্ষিণে ভাগ করা হয়। ২৩ নম্বর ওয়ার্ড ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-এর অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ড-কে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ড হিসেবে।
২০০৮ সালে হঠাৎ করেই সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে ২৩ নম্বর ওয়ার্ড-কে রামপুরা থানার অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একই প্রক্রিয়ায় নির্বাচনি এলাকাও পরিবর্তন করা হয়। খিলগাঁও থানা ভবনটির অবস্থান ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তালতলা মার্কেটের পাশে হলেও রামপুরা থানা ভবনটির অবস্থান কয়েক মাইল দুরে মেরাদিয়ায়। ঐ সময় থেকে এলাকার সচেতন জনগণ ও সামাজিক সংগঠনগুলো তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।
এলাকাবাসীগন উক্ত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনেকবার মানববন্ধন, প্রেস কনফারেন্স, মতবিনিময় সভা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করে আসছে।
নাগরিক সুবিধাসমূহ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তীব্র বৈষম্যের স্বীকার হয়েও আজও কোন প্রতিকার পায় নাই।
খিলগাঁও আবাসিক এলাকার এ, বি ও সি জোন এলাকাকে ‘একই সংসদীয় নির্বাচনি আসনে, একই সিটি কর্পোরেশন ও একই থানায় অন্তর্ভুক্ত’ করার দাবিতে আগামীকাল (৩০ মে) শুক্রবার, দুপুর ১:৪৫ মিনিটে মালিবাগ চৌধুরীপাড়া মাটির মসজিদের সম্মুখে ‘নাগরিক সমাবেশ ও মানববন্ধন’-এর আয়োজন করা হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ এই সমাবেশে আপনার প্রচার মাধ্যমের পক্ষ থেকে সঠিক সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংবাদদাতা ও আলোকচিত্রীর প্রেরণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।