শাহজালালে আগুন

বিমানবন্দর সড়কে তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে বিদেশগামী যাত্রীরা

রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখ বিমানবন্দর সড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন বিদেশগামী যাত্রীরা।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে আগুন লাগার পর থেকে বনানীর কাকলি থেকে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কার্যালয় পর্যন্ত পুরো সড়কে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। সড়কে আটকে পড়া অনেকে গন্তব্যে পৌঁছাতে হেঁটে রওনা দিয়েছেন।

বিশেষ করে বিদেশগামী যাত্রীরা পড়েছেন সবচেয়ে বড় বিপাকে। বিমানবন্দরের দুটি প্রবেশ গেট বন্ধ থাকায় কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। এতে সময়মতো টার্মিনালে পৌঁছানো নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।

যানজটে আটকে থাকা যাত্রীরা জানাচ্ছেন, সাধারণত ১৫-২০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে লাগছে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। ফলে বিমানযাত্রী ও সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।

দুবাইগামী যাত্রী লিখন হোসেন বলেন, ‘আজ আমার ফ্লাইট আছে। শুনেছি এয়ারপোর্টে আগুন লেগেছে। ফ্লাইট বন্ধ থাকলেও আমাকে বিমানবন্দরে যেতেই হবে, কারণ ঢাকায় থাকার মতো কোনো জায়গা নেই।’

একইভাবে উবার চালক শান্ত জানান, ‘এয়ারপোর্টে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু যানজটের কারণে আটকে আছি রাস্তায়। কতক্ষণ লাগবে জানি না।’

বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদ বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য শাহজালাল বিমানবন্দরের ফায়ার ইউনিট কাজ করছে। বিমানবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স একযোগে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদ জানান, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।

শনিবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। প্রথমে বিমানবন্দরের নিজস্ব ইউনিট ও বিমানবাহিনীর ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয়।

আগুনের কারণে এখন পর্যন্ত সব রুটের ফ্লাইট ওঠানামা সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যান চলাচল ও ফ্লাইট পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটবে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।