নাঙ্গলকোটে খালের মাটি লুটে মহোৎসব

মজিবুর রহমান মোল্লা, নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা): কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সরকারি খাল পাড়ের মাটি লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

একটি প্রভাবশালী সংঘবদ্ধ চক্র এসব খাল পাড়ের মাটি নিয়ে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা আয় করছে। এতে বর্ষা মৌসুমে খালের পানি উপচে ফসল ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নাঙ্গলকোট উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ডাকাতিয়া নদীর কিছু অংশ এবং বিভিন্ন শাখা খালগুলো কুমিল্লা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০২২ সালে খনন করে। খননকালে খালের নিচ থেকে ওঠানো মাটি দিয়ে এর পাড় বাঁধানো হয়। কিছুদিন ধরে এসব খাল পাড়ের মাটি ভ্যাকুমেশিন দিয়ে কেটে নিয়ে যাচ্ছে একদল মাটি ব্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাটি কেটে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তারা প্রতি ট্রাক্টর মাটি দাম ১৫শ থেকে ২০০০ টাকায় বিক্রি করছে। 

মাটি ট্রাক্টরে বহনের সময় গ্রামীণ জণপদ দিয়ে নিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের জামাকাপড় ধূলোয় নষ্ট হচ্ছে। বর্ষাকালে পানিতে নষ্ট হতে পারে কয়েক হাজার একর ফসলি জমি। এতে করে ইরি বোরো ও আমন মৌসুমে ফসল ধ্বংসের আশঙ্কা কৃষকের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই এমন কাজ করা হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।  

জানা গেছে, উপজেলার হেসাখাল ইউপির পাটোয়ার ব্রিজ এলাকা ও পেরিয়া ইউপির চেহরিয়া, শাকতলী, আশারকোটা এলাকায় ও বটতলী ইউপির মাটিগোদা, মাছিমপুর, কাশিপুর এবং বক্সগঞ্জ ইউপির বড়কালি, কদমতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমির পাশে সরকারি খালের পাড়ের মাটি সিন্ডিকেটের লোকজন তুলে নিয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাটিকাটা বন্ধে জোরাল কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ওই সিন্ডিকেট আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।  

পাটোয়ার গ্রামের কৃষক সাদ্দাম ভূঁইয়া বলেন, সরকার গত বছর ওই এলাকার খালটি খনন করেছে। একরাম নামের এক ব্যাক্তি খালের পাড়ের মাটি বিক্রি করে যাচ্ছে। মাটি কাটা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান মেহেবুব বলেন, খালের পাড়ের মাটি বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই। প্রশাসন থেকে কাউকে কোন অনুমতি দেয়া হয়নি।  

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাহী অফিসারকে বলেছি অভিযান পরিচালনা করে মাটি কাটা বন্ধ করতে। 

#কেকে