বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদ করায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গুলিতে মানিকগঞ্জে ৪জন নিহত হয়েছিল। এ ঘটনার প্রায় এক যুগ পর মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে আ.লীগের ৫২ নেতাকর্মী ও ৩৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৯০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) মানিকুগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন নিহত মাওলানা নাসির উদ্দিনের ভাই মো. শহিদুল ইসলাম।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক পৌর মেয়র মীর মো. শাহজাহান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মাজেদ খান, সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহীদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সায়েদুল ইসলাম, পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু নাঈম মো. বাশার, পৌর প্যানেল মেয়র সমেজ উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিল আব্দুস সালাম খান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিনসহ ৫২ জন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সিংগাইর পৌরসভার গোবিন্ধল থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রিভলবার, পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে উপস্থিত হয়ে বাধা দেয়। একপর্যায়ে সাধারণ মুসল্লিদের লক্ষ্য করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গুলিবর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থলে গোবিন্ধল গ্রামের মাওলানা নাসির উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, নাজিম উদ্দীন ও শাহ আলম নিহত হন। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছিলেন।