সৈয়দপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কম দেয়ার অভিযোগ

নীলফামারী প্রতিনিধি : অসহায় এবং নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সাশ্রয়ী দামে চাল দিচ্ছে সরকার। ব্যাপক ভর্তুকি দিয়ে মাত্র ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল কেনার সুবিধা পাচ্ছেন তৃণমূলের অসংখ্য পরিবার। কিন্তু অনিয়ম ও দুর্নীতির ফলে সুবিধাভোগীরা ঠকছেন প্রতিনিয়ত। নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রতিবারই নানা অজুহাতে তাদের নুন্যতম ৩শ' গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত কম চাল দেয়া হচ্ছে।

এক্ষেত্রে পরস্পরের প্রতি দায় চাপাচ্ছে ডিলার ও খাদ্য কর্মকর্তারা। উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ৩২ জন ডিলারের অধীনে ১৫ হাজার ৩৩৭ জন কার্ডধারী এই সুবিধার পাচ্ছেন। তারা ৪৫০ টাকায় কেনেন ৩০ কেজি চাল। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় চাল ২৯ কেজি থেকে ২৯ কেজি ৬শ' গ্রাম।

ডিলাররা গ্রাহককে চাল মেপে দেয়ার সময় কারসাজি করে। আর ৩০ কেজি বস্তায়ও চাল কম থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ডিলাররা বলছেন, গ্রাহক সংখ্যা অনুযায়ী বস্তা দেয় উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা। খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ ছেঁড়াফাটা বস্তা দেয়ায় নানা কারণে চালের ঘাটতি হয়। তাছাড়া বস্তা প্রতি মাত্র ৭শ' গ্রাম ওজন ধরে বাদ দেয়া হয়। অথচ বস্তার ওজন ৭২০ থেকে ৮শ' গ্রাম পর্যন্ত হয়।  

৪শ'-৫শ' গ্রাম কম কোন ব্যাপার নয় মন্তব্য করে এক ডিলার বলেন, আমার বরাদ্দ অনুযায়ী ৫০ কেজির ৩০১টি বস্তা প্রাপ্য, কিন্তু দেয়া হয়েছে ২৯৯ বস্তা। অর্থাৎ ২ বস্তায় ১০০ কেজি চাল কম দিয়েছে খাদ্য গুদাম। এখন কম না দিলে সব গ্রাহককে বিদায় করবে কিভাবে?

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীমা নাছরিনের সাথে কথা হয়। চাল কম দেয়া বা বকশিশ নেয়ার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, নিয়মানুযায়ী সিরিয়াল মত খামাল থেকে মাল দেয়া হয়। এতে কেউ ৩০ কেজি আবার কেউ ৫০ কেজির বস্তা পায়। গ্রাহককে কম দেয়ার অজুহাত হিসেবে ডিলাররা মনগড়া তথ্য দিয়েছে। 

শামীমা নাছরিন বলেন, ওজন করার পর প্রত্যেক ডিলারকে ২ বস্তা করে চাল বেশি দেই, যাতে ঘাটতি না হয়। কিভাবে অতিরিক্ত চাল দেন তিনি এমন প্রশ্ন করা হলে ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে দ্রুত সটকে পড়েন তিনি।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জহুরুল হক বলেন, কোনভাবেই চাল কম দেয়ার সুযোগ নাই। ডিলারের বিরুদ্ধে গ্রাহকরা লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি/