৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্লাবিত হতে পারে ৫ জেলার নিম্নাঞ্চল

দেশের পাঁচ জেলার নদী-সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগামী তিনদিন সারাদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে নদ-নদীর পানি বেড়ে পাঁচ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দেশের নদ-নদীর বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে এক পূর্বাভাসে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৩ দিন (৬ অক্টোবর সকাল ৯টা পর্যন্ত) দেশের অভ্যন্তরে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট জেলায় এবং সংলগ্ন উজানে ভারতের প্রদেশসমূহে বিচ্ছিন্নভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ধরলা নদীর পানি সমতল হ্রাস পেয়েছে এবং দুধকুমার নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে।

আগামী তিনদিন এসব নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে এ সময়ে তিস্তা নদীর পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নদী-সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ বিভাগের সোমেশ্বরী ও ভুগাই নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে, কংস নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। আগামী তিনদিন এসব নদীর পানি সমতলও বাড়তে পারে। এতে এ সময়ে সোমেশ্বরী, ভুগাই-কংস নদীর শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা জেলা অংশে পানি সমতল সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং নদী-সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের করতোয়া, যমুনেশ্বরি, পুনর্ভবা ও টাঙ্গন নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আত্রাই, আপার-আত্রাই, মহানন্দা ও ঘাঘট নদীর পানি সমতল হ্রাস পেয়েছে। আগামী তিনদিন এসব নদীর পানি সমতলও দ্রুত বাড়তে পারে। 

অন্যদিকে বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীগুলোয় বর্তমানে স্বাভাবিকের থেকে উচ্চতর জোয়ার বিরাজমান আছে। আগামী একদিনও নদীগুলোয় এমন জোয়ার অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।