উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে দ্রুত বাড়ছে তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি। এতে জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে আমন খেতসহ শাকসবজি ও অন্যান্য ফসলি জমি।
জেলার সদর, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী, উলিপুর ও রাজারহাটসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ক্ষেতের ধান গাছ ডুবে যাওয়ায় কৃষকেরা কাঁচা ধান কেটে ঘরে তুলতে শুরু করেছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, পানি যদি আরও বাড়ে, তবে পানিতে ডুবে থাকা ধানসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তবে দ্রুত পানি নেমে গেলে কিছুটা হলেও ফসল রক্ষা পাবে।
জেলার সদর, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী, উলিপুর ও রাজারহাটসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ক্ষেতের ধান গাছ ডুবে যাওয়ায় কৃষকেরা কাঁচা ধান কেটে ঘরে তুলতে শুরু করেছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, পানি যদি আরও বাড়ে, তবে পানিতে ডুবে থাকা ধানসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তবে দ্রুত পানি নেমে গেলে কিছুটা হলেও ফসল রক্ষা পাবে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, দুধকুমার নদীর পানি জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে তিস্তা নদীর পানি লালমনিরহাটের কাউনিয়া পয়েন্টে কিছুটা কমে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ভারতের উজান এলাকায় ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় আগামী ২ দিনে পানি আরও বাড়তে পারে। এতে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে প্লাবনের ঝুঁকি রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, জেলার কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান ও শাকসবজি পানিতে ডুবে আছে। দ্রুত পানি না নামলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে কৃষকদের।
