সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহায়তা করবে নৌবাহিনী

বর্তমান সরকার ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা করেছেন। এই নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের ভূমিকা হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্য জাতীয় নির্বাচনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহায়তা করবে।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বানৌজা শের-ই-বাংলা প্যারেড গ্রাউন্ডে ৪১৭ জন নবীন নাবিকের দীর্ঘ ২২ সপ্তাহ সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান এসব কথা বলেন।
 

নৌবাহিনী প্রধান বলেন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সার্বিকভাবে জনগণের জানমাল বজায় এবং সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষে ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে ইন এইট টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য নৌবাহিনী তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় মোতায়েন রয়েছে। এসব এলাকায় নিয়োজিত নৌসদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং এলাকাসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সকল ভূমিকা পালন করে দেশবাসীর কাছে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে।

তিনি আরও বলেন, চট্রগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব সরকার চট্টগ্রাম জয়দেব লিমিটেডের উপর ন্যাস্ত করেছে। এতে অল্প সময়ের মধ্যে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে গতিশীলতা এসেছে সামগ্রিক অর্থনীতিতে।

এ সময় নৌবাহিনী সদর দপ্তরের পিএসওগণ, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা, পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এবং নবীন নাবিকদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে নৌ-প্রধান প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এ সময় নবীন নাবিকরা জাতীয় পতাকা স্পর্শ করে দেশের প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করার শপথ গ্রহণ করেন।
 
 
পরে পেশাগত ও সকল বিষয়ে সর্বোচ্চ উৎকর্ষ অর্জন করায় সেরা চৌকশ নাবিক হিসেবে রিজন মোল্লা ‘নৌপ্রধান পদক’, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করায় মো. মারুফ হাসান মুন্না ‘কমখুল পদক’ এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করায় মো. হাসান আলী ‘শের-ই-বাংলা পদক’ অর্জন করেন এবং তাদের হাতে নৌপ্রধান ক্রেস্ট তুলে দেন।