দেশব্যাপি মডেল মসজিদ নির্মানে যে অনিয়ম হয়েছে তা খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে নোয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রান বিতরণকালে তিনি একথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, সারাদেশে মডেল মসজিদ নির্মানে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোথাও কোথাও মসজিদ উদ্বোধনের আগেই মসজিদের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। অনেক জায়গায় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে যারাই অনিয়ম করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতার পানি কমছেনা। এখনো শহরে পানি জমে আছে। সার্কিট হাউজের সামনে দিয়ে আসতে দেখলাম সেখানেও পানি জমা। আমি জেনেছি, নোয়াখালীর জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের সমস্যা। এর জন্য দায়ী অবৈধ স্থাপনা।
খাল ও নালা দখল করে অনেক নেতা অবৈধভাবে খামার করেছে, দোকানপাট করেছে। এসব উচ্ছেদ করতে হবে। তা না হলে নোয়াখালীর জলাবদ্ধতা শেষ হবে না। আমি জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে বলেছি। আশা করছি তিনি দ্রুত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালাবেন।
এসময় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানসহ জেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।