চাঁদপুরে প্রতিদিন ৫০০ মণ ইলিশ সরবরাহ

ভরা মৌসুমে ধীরে ধীরে বাড়ছে ইলিশের সরবরাহ। প্রতিদিন ঘাটে আসছে ৪০০-৫০০ মণ ইলিশ। আকারভেদে কেজি প্রতি দামও রয়েছে ওঠা-নামার মধ্যে। সুস্বাদু আর তাজা ইলিশ কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছে ক্রেতারা। ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম হয়ে উঠছে চাঁদপুরের ইলিশঘাট।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাট গিয়ে দেখা যায়, ভরা মৌসুমে ধীরে ধীরে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কমেছে কেজি প্রতি ২০০-৩০০ টাকা।

গত এক সপ্তাহ ধরে গড়ে ৩০০-৫০০ মণ ইলিশ কেনা-বেচা হচ্ছে এই ঘাটে। সুস্বাদু আর তাজা ইলিশ কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে যান খুচরা-পাইকারি ক্রেতারা।

বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০-২৩০০ টাকা, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০০-২৬০০ টাকা। আর এক কেজির নিচে ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০-১৬০০ টাকা।

ক্রেতা মাহবুব অলি উল্ল্যাহ জানান, গত সপ্তাহে ইলিশের দাম বেশি ছিলো। এ সপ্তাহে কিছুটা কমলেও এখনও মানুষের নাগালের বাইরে। দাম আরো কিছুটা কমলে মানুষের আয়ত্তের ভিতরে থাকবে।

আরেক ক্রেতা স্বপন সাহা জানান, এখনও মাছের দাম কমছে না। গত বছর এদিনে মাছের দাম কম ছিলো, অনেক মাছ কিনেছি। এবছর কিনতে পারিনি ইলিশের দাম বেশি হওয়ায়।

চাঁদপুর মাছ ঘাটের ইলিশ বিক্রেতা মানিক হোসেন জানান, গেলো কয়েক সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে, তাই দামও কিছুটা কমেছে। তবে সামনে দাম করার সম্ভাবনা নেই। মৌসুম শেষে ধীরে ধীরে ইলিশের সরবরাহ কমে আসলে দাম বাড়তে শুরু করবে।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত জানান, এখন প্রতিদিন ঘাটে ৪০০-৫০০ মণ ইলিশ সরবরাহ হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ছোট সাইজের মাছ বেশি। আকারভেদে মাছের দাম ওঠা-নামায় আছে। কয়েকদিন পর ইলিশের সরবরাহ কমতে শুরু করলে দাম আরো বাড়বে।

এদিকে জেলা মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের দেওয়া তথ্যমতে, এবার ৪৪ হাজার জাটকা ইলিশ যুক্ত হয়েছে। গেল বছর ছিল ৪১ হাজার। এবার ৩ হাজার বেশি জাটকা ইলিশ যুক্ত হয়। ভরা মৌসুমে ধীরে ধীরে বাড়বে ইলিশের প্রাপ্যতা।