চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী দুই লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনায় অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চকে আটক করেছে ঝালকাঠি জেলা পুলিশ। এসময় লঞ্চে থাকা চারজন কর্মীকে আটক করা হয়।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ঝালকাঠি লঞ্চঘাট থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার পর হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে অ্যাডভেঞ্চার-৯ ও জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চ দুটির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক জানান, আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি ঝালকাঠি টার্মিনালে নোঙ্গর করলে জব্দ করা হয়। লঞ্চের চালক, সুপারভাইজারসহ বাকিরা আগেই পালিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ কেবিন বয়কে ঝালকাঠি সদর থানায় নেওয়া হয়েছে।
লঞ্চটির বিরুদ্ধে চাঁদপুরে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সঙ্গে ভোলার ঘোষেরহাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়। এ দুর্ঘটনায় আহত হন ১৫ জন।
ঘন কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
জানা গেছে, ভোলার ঘোষেরহাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি রাত ২টার পর হাইমচর এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় নদীতে ঘন কুয়াশা ছিল। দিক নির্ণয় করতে না পেরে লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়।
চাঁদপুরে লঞ্চ দুর্ঘটনা: ৮ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
মেঘনা নদীতে দুর্ঘটনায় পড়া দুই লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল
মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৪