কিশোরগঞ্জের হাওরে ধান কাটার উৎসব চলছে। ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা। ব্যস্ত কৃষাণি ও শিশুরাও।
হাওর ঘুরে দেখা গেছে, এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান কাটা, মাড়াই আর পরিবহনে ব্যস্ত সবাই। ধানকাটা উৎসবে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাওরে জড়ো হয়েছে কৃষি শ্রমিকরা। মাঠের সবুজ ধান সোনালি রঙ ধারনের সঙ্গে সঙ্গে কাটা শুরু হয়েছে।
ঝড়-বৃষ্টি, বজ্রপাত,বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করেই ফসল ঘরে তুলতে হয় কৃষকদের।
সপ্তাহ খানেক আগে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৫ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে। তবে ধানকাটার পুরোপুরি ধুম পড়বে আগামী সপ্তাহ থেকে।
কাস্তের পাশাপাশি ছয় শতাধিক কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিন দিয়ে চলছে ধান কাটার কাজ। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি এড়াতে জমির ধান ৮০ ভাগ পাকলেই দ্রুত কেটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এবার জেলায় এক লাখ ৬৮ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে এক লাখ হেক্টরই হয়েছে হাওরের তিন উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাত লাখ ৮৮ হাজার ৯১২ মেট্রিক টন চাল।
কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।