মুন্সীগঞ্জে স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে থানায় গিয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ঘাতক স্বামী সুমন ওরফে সাহজাহান (৪৫)। ভোর ৫টার দিকে থানায় হাজির হয়ে স্ত্রী হত্যার কথা পুলিশকে জানান সুমন। পরে ঘর থেকে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার (১৯ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার মিরকাদিমে পূর্বপাড়া এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত স্ত্রী মিতু আক্তার (২৮) নৈদিঘীর পাথর এলাকার মন্টু শিকদারের কন্যা। ঘাতক স্বামী সুমন ওরফে সাহজাহান (৪৫) রিকারি বাজার বটতলা এলাকার শরিয়ত উল্লাহর পুত্র।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৮ মাস আগে মিতু আক্তারকে বিয়ে করেন সুমন। নিহত মিতু আক্তারের আগে আরেকটি বিয়ে হয়েছিলো। সেখানে তিন সন্তান রয়েছে। সুমনেরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ, ঝগড়াঝাটি লেগেই ছিলো। কিছুদিন আগে ঝগড়া করে মিতু তার বাবার বাড়িতে চলে যান। সোমবার তার স্বামীর বন্ধুরা তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। সেদিনই রাত ২ টার দিকে বন্ধুদের সাথে মদ্যপান করে বন্ধুদের সহযোগিতায় স্ত্রী মিতুকে ধারালো বটি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ ও গলায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে সুমন।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম জানান, স্ত্রীকে হত্যা করে নিজেই থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন সুমন মিয়া। তবে ঘরে বসে মদপানের বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি। ওসি জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।