নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে যেকোন ধরনের সভা-সমাবেশের কেন্দ্রবিন্দু এখন উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। গত প্রায় ২/৩ বছর ধরে শহীদ মিনারটি নির্মাণ করার পর থেকে শহীদ মিনারটির পাদদেশকে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের জন্য নির্ধারণ করেন নেতাকর্মীরা। পরিবেশ ও অবস্থানগত কারণে স্থানটি সমাবেশের জন্য বেছে নেন বলে জানান তারা।
২/৩ বছর আগেও স্থানটিতে বিশনন্দী, গোপালদী, রামচন্দ্রদী ও শালমদীগামী সিএনজির স্ট্যান্ড ছিল। ১৯৭৮ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এখানে একটি পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপন করেন। স্থানটি ছিল পাবলিক লাইব্রেরি সংলগ্ন। লাইব্রেরিটি ছিল টিনের চৌচালা ও ছাপড়াওয়ালা টিনের ঘর।
এ টিনের ঘরের একটি কক্ষে ১৯৯৪ সালে আড়াইহাজার প্রেসক্লাবের অফিসের কার্যক্রম শুরু হয় এবং ২০০৪ সাল পর্যন্ত তা এখানেই স্থায়ী হয়। ২০০৬ সালে বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হস্তান্তরের দিন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পাবলিক লাইব্রেরির এ ঘরটি ভাংচুর করে এবং পুড়িয়ে দেয়।
এর দীর্ঘ কয়েক বছর পর এখানে পাবলিক লাইব্রেরির নতুন ভবন নির্মিত হলে ওই ভবনের পাশের সিএনজি স্ট্যান্ড সরিয়ে পাশের খালি জায়গায় শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়।
এরপর গতবছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে হটিয়ে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হলে সব ধরনের সভা-সমাবেশ এখানেই করা হচ্ছে। বিএনপি থেকে শুরু করে এনসিপির কয়েকটি সভা এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামী দলগুলোকেও তাদের বিভিন্ন কর্মসূচির র্যালি শেষে এখানেই জড়ো হয়ে সভা-সমাবেশ করতে দেখা যায়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট কিছু লোক আড়াইহাজার থানার ভবনটি পুড়িয়ে দেওয়া এবং থানার সকল প্রকার মালামাল ও অস্ত্র-সস্ত্র লুট করে নিয়ে যাওয়ায় ওই ভবনে অস্থায়ীভাবে থানা কার্যালয় স্থাপন করা হয়। ফলে এখানে থানার কার্যক্রমও চলছে।
এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসিরউদ্দিন বলেন, পুরাতন ও ক্ষতিগ্রস্ত ভবন মেরামত করা হলে থানার কার্যক্রম ওই ভবনে স্থানান্তর করা হবে। তখন শহীদ মিনার এলাকাটি আরো বেশি প্রাণবন্ত হবে।