সুন্দরবনে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার যুক্ত কুমির অবমুক্ত

জীবনাচারণ জানতে সুন্দরবনে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার ডিভাইসযুক্ত আরও একটি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চরাপুটিয়া খালে কুমিরটি অবমুক্ত করা হয়।

কুমিরটি অবমুক্তের বিষয়ে করমজল বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, এ ধরনের গবেষণার মাধ্যমে কুমির কোথায় যাচ্ছে, কুমিরের জীবনাচারণ ও খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানা যাবে। বর্তমানে বাংলাদেশে কেবল সুন্দরবন এলাকাতেই প্রাকৃতিক পরিবেশে লোনাপানির কুমির দেখা যায়।

তিনি জানান,পরিবেশে লোনাপানির কুমিরের এই প্রজাতির প্রজনন খুব একটা হচ্ছে না। তাই প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএনের তালিকায় লোনাপানির কুমিরকে বাংলাদেশে বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এই কুমিরের প্রজনন বৃদ্ধি ও লালন-পালনের জন্য ২০০০ সালে সুন্দরবনের করমজলে বন বিভাগের উদ্যোগে কুমির প্রজননকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। অবমুক্ত করা কুমিরটি এ কেন্দ্রেই লালন-পালন করা।

এদিকে, ২০২৪ সালের ১৩ থেকে ১৬ মার্চ সুন্দরবনে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে চারটি কুমির ছাড়া হয়। এর মধ্যে দুটি ছিল পুরুষ ও দুটি স্ত্রী।

বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ওই কুমিরগুলো অবমুক্তের এক মাসের কাছাকাছি সময়ে একটি কুমির প্রায় ১৫০ কিলোমিটার এলাকা ঘুরেছিল এবং সুন্দরবন এলাকার বাইরে চলে যায়। প্রায় এক মাস পর ১২ এপ্রিল রাতে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ শৈলদাহ গ্রামের পুকুর থেকে উদ্ধার করে আবার সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়।

অবমুক্ত করা চারটি কুমিরই এখনো সুন্দরবনের ভেতরে আছে বলে জানিয়েছেন বন কর্মকর্তা আজাদ কবির।