আধুনিকতার এই যুগে বিলুপ্তপ্রায় লোকজ খেলাধুলার এমন আয়োজন দেখতে উৎসবমুখর পরিবেশে স্থানীয় নারী, শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ এই খেলা উপভোগ করেন।
লাঠি খেলাটি পরিচালনা করেন শওকত হোসেন এবং নেতৃত্ব দেন মো. শহিদুল ইসলাম। তার নেতৃত্বে প্রায় ২০ জন সদস্য নিয়ে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিলেন- ওদু ইসলাম, ইসা হোসেন, আতিয়ার রহমান, মোশাররফ হোসেন, ইদ্রিস আলী, রতন ও আহাদসহ স্থানীয় তরুণ লাঠিয়ালরা। এ সময় খেলার পুরো মাঠজুড়ে দর্শকদের উচ্ছ্বাস ও করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আধুনিক বিনোদনের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া এই লাঠি খেলা আমাদের পূর্ব পুরুষদের ক্রীড়া ঐতিহ্যের প্রতীক। তরুণ প্রজন্মের মাঝে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই এমন আয়োজন করা হয়েছে।
দর্শক রনিকুল ইসলাম বলেন, এক সময় এই এলাকায় লাঠি খেলা খুব জনপ্রিয় ছিল, এখন তেমন একটা দেখা যায় না। আজকে নতুন করে এই খেলা দেখে পুরোনো দিনের স্মৃতি ফিরে পেলাম।
শিক্ষক মিকাইল হোসেন জানান, আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে, তাই এমন আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়।
লাঠিয়াল দলের অধিনায়ক শওকত হোসেন বলেন, আমাদের বাপ-দাদার ঐতিহ্যকে আমরা এখনো বুকে লালন করি। যতদিন পারি, এই খেলাকে বাঁচিয়ে রাখবো।
অন্যদিকে গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি নুরুল হোসেন বলেন, আমি এই স্কুলে দীর্ঘ চাকরি জীবনে অনেক খেলা দেখেছি। কিন্তু অবসরের পর আজ দীর্ঘদিন পরে এমন আয়োজন দেখে মন ভরে গেল।
গ্রামীণ ঐতিহ্যের এই লাঠি খেলা স্থানীয় সংস্কৃতিপ্রেমীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা ছড়িয়ে দিয়েছে। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী দিনে এ ধরনের আয়োজন নিয়মিতভাবে করে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখা হবে।