যশোরে গ্রীষ্মকালীন নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষে আশানুরূপ ফলন পেয়ে আনন্দে মুখরিত কৃষকরা। কৃষি বিভাগের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে সরবরাহকৃত এই পেঁয়াজের ফলন অন্যান্য জাতের তুলনায় ভালো হওয়ায় চাষিদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে।
যশোর সদর উপজেলার কৃষক আ. হালিম বলেন, নাশিক এন-৫৩ পেঁয়াজটা অসময়ে হলেও খুব বড় হয়। শীতকালীন পেঁয়াজ উঠতে উঠতেই আমাদের এই পেঁয়াজ বাজারে চলে আসে। তাই দামও ভালো পাই। আমি প্রতি বছরই এই পেঁয়াজ লাগাবো।
আরেক কৃষক জানান, গ্রীষ্মকালীন এই পেঁয়াজের পরেও আমরা শীতকালীন পেঁয়াজ লাগাতে পারি। এতে আমরা দ্বিগুণ লাভবান হচ্ছি। এই জাতের পেঁয়াজে পোকামাকড়ও খুব কম লাগে।
কৃষকরা বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে পাওয়া নাশিক এন-৫৩ জাতের এই বীজ তাদের প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফলন দিয়েছে। রোগবালাই কম হওয়ায় উৎপাদন ব্যয়ও কমছে। ফলে চাষিরা এই জাতটি ভবিষ্যতেও লাগানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
কৃষক আলী হোসেন বলেন, গত বছর এক কৃষক এই পেঁয়াজ চাষ করেছিলেন। তার দেখাদেখি এবার জব্বার ভাই ও আমি লাগিয়েছি। আগামী বছর আমিও আবার লাগাবো।
যশোরের কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, এক সময় আমাদের দেশে শুধু শীতকালীন পেঁয়াজ হতো। এখন আমাদের চাষিরা গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজও উৎপাদন করতে পারছেন। উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। চাষিদের প্রযুক্তিগত পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা ভালোভাবে ফসল ফলিয়ে লাভবান হতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, যশোরে অনেক কৃষক এখন গ্রীষ্মকালীন এই জাতের পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এতে দেশে পেঁয়াজ আমদানির ওপর নির্ভরতা কমবে এবং কৃষকের আর্থিক অবস্থারও উন্নতি হবে।