যশোরে তাপমাত্রা নেমেছে ৮ ডিগ্রিতে

আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১৬ এএম

যশোরে জেঁকে বসেছে পৌষের হাড়কাঁপানো শীত। পৌষের দ্বিতীয় সপ্তাহেই কুয়াশা আর কনকনে হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের জনজীবন। মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহে আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল শুক্রবার ছিল ৯ ডিগ্রি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশজুড়ে ঠান্ডার এই অনুভূতি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

তীব্র ঠান্ডায় সবথেকে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। ভোরে যশোর শহরের লালদীঘি পাড়ে যেখানে প্রতিদিন ৩-৪শ’ মানুষ শ্রম বিক্রির জন্য জড়ো হন, সেখানে আজ উপস্থিতি অর্ধেকে নেমে এসেছে। কাজ না পেয়ে অনেককে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। বাহাদুরপুর এলাকার শ্রমিক রফিকুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে কাজ হচ্ছে না। শীতে ভোরবেলা এসে বসে থাকলেও কেউ ডাকছে না।’

একই চিত্র রিকশাচালকদেরও। খড়কি এলাকার রিকশাচালক ইসলাম হোসেন জানান, কনকনে ঠান্ডায় রিকশা চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। বাতাসের ঝাপটায় হাত-পা জমে যাচ্ছে, এমনকি ঠিকমতো ব্রেকও ধরা যাচ্ছে না। সন্ধ্যার পর রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় আয় কমে অর্ধেক হয়ে গেছে বলে জানান রিকশাচালক আব্দুর রহিম।

শহরের রাস্তাঘাটে মানুষজনকে মোটা জ্যাকেট ও মাফলারে জবুথবু হয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীত ও বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।

DR/AHA
আরও পড়ুন