শেরপুরের গাজীরখামার ইউনিয়নের চারটি গ্রামে এক পাগলা শিয়ালের আক্রমণে মোট ২২ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে শিয়ালটি প্রথমে দিকপাড়া গ্রামে ৪ জনকে, এরপর গির্দ্দাপাড়া গ্রামে ১০ জনকে, তারপর নাকশি গ্রামে ৪ জনকে এবং সর্বশেষ পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামে ৪ জনকে কামড়ে আহত করে।
এ সময় আহতদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা একত্র হয়ে শিয়ালটিকে তাড়া করে ধরে পিটিয়ে মেরে ফেলে। পরে আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আহত সবাইকে অ্যান্টি-র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনার পর থেকে ওই চার গ্রামে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসন থেকে মসজিদে মাইকিং করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
গাজীরখামার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, শিয়ালটি পুরো গ্রামজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। বন বিভাগ ও প্রাণিসম্পদ অফিসে খবর দেওয়া হয়েছে যাতে আশপাশে আরও এমন প্রাণী থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, শিয়ালটি জলাতঙ্ক (র্যাবিস) রোগে আক্রান্ত ছিল। স্থানীয় জনগণকে শিয়ালের কামড়ের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উম্মে সালমা আখি বলেন, কিছুদিন যাবত হাসপাতালে কুকুর ও শিয়ালের কামড়ের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১৪ জন শিয়ালের কামড়ানো রোগী পেয়েছি। আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দিয়েছি। হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন রয়েছে।