কিডনিতে অপারেশনের কথা জানিয়ে জামিন চাইলেন আফ্রিদি

কিডনিতে অপারেশনের কথা জানিয়ে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি আদালতকে বলেছেন, ‘আমার বয়স ২৫ বছর। চার মাস আগে কিডনিতে অপারেশন করা হয়েছে। ইনসুলিন নেওয়া লাগে। আমার স্ত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমার জামিন পাওয়া প্রয়োজন।’

শনিবার (৩০ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্ল্যাহ পিয়াসের আদালতে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় বিচারক বলেন, ‘আপনার যাবতীয় চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা হবে।’ পরে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

এদিন পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তৌহিদ আফ্রিদিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক খান মো. এরফান। বেলা ১২টার দিকে তৌহিদ আফ্রিদিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। ২টা ৫৬ মিনিটের দিকে এজলাসে তোলা হয়।

তৌহিদ আফ্রিদির পক্ষে তার আইনজীবী মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম জামিন চেয়ে শুনানি করেন। তিনি বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। মামলার বাদী গত বছরের ১১ নভেম্বর এফিডেভিট দিয়ে আদালতকে বলেছেন, তথ্যগত ভুলের কারণে তাকে আসামি করা হয়েছে। জামিন, অব্যাহতি, খালাস পেলে তার আপত্তি নেই। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার জামিনের প্রার্থনা করছি।’

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর কাইয়ুম হোসেন নয়ন জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, ‘এটা একটা হত্যা মামলা। জামিনের ঘোরতর বিরোধিতা করছি।’

শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে তৌহিদ আফ্রিদিকে বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি পুলিশ। পরদিন তার ৫ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন মো. আসাদুল হক বাবু। দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন আসাদুল। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় আসামির তালিকায় তৌহিদ আফ্রিদির বাবা, মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীর নামও রয়েছে।