গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় পড়া শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ রায় পড়া শুরু হয়। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এ মামলায় পলাতক রয়েছেন শেখ হাসিনা ও কামাল। তবে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় বছরখানেক ধরে কারাগারে রয়েছেন সাবেক আইজিপি মামুন। যদিও রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি। ফলে সাবেক এই আইজিপির শাস্তির বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দেন প্রসিকিউশন।
এদিকে দেড় দশক ধরে দেশ শাসন করা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ (প্রসিকিউশন) সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি করেছে। যদি আদালত এতে সম্মতি জানায়, তাহলে এটি দেশের ইতিহাসে প্রথমবার যেকোনো রাষ্ট্র বা প্রধানমন্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার রায়ের তারিখ নির্ধারণের দিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অঙ্গীকার করেছিলাম যে, যারাই বাংলাদেশে যত শক্তিশালী হোক না কেন, যদি কেউ অপরাধ করে-মানবতাবিরোধী অপরাধ করে, তাদেরকে সঠিক পন্থায় বিচারের মুখোমুখি করা হবে এবং তাদের আইন অনুযায়ী যে প্রাপ্য, সেটা তাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি আদালতের কাছে প্রার্থনা করেছি। আদালত তার সুবিবেচনা প্রয়োগ করবেন এবং আমাদের পক্ষ থেকে প্রার্থনা হচ্ছে যে, এই অপরাধের দায়ে আসামিদের যেন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় সরাসরি সম্প্রচার করছে বাংলাদেশ টেলিভিশন। একই সঙ্গে ঢাকা শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় বড় স্ক্রিনে রায় ঘোষণা সরাসরি সম্প্রচার করছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এছাড়া প্রচার করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফেসবুক পেজেও।