ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনায় কারচুপি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসংসদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বাকের মজুমদার বলেন, ‘প্রতি হলের ৩০০টি করে ভোট যদি কনভার্ট (অন্য প্রার্থীর দেখানো) করতে পারে তাহলে ৫৬০০ ভোট হয়ে যায়। একজন প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার জন্য এর চেয়ে বেশি ভোটের প্রয়োজন নেই। আমরা জানি না ভেতরে নির্বাচন নিয়ে এখন কী হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘৮টি কেন্দ্রে যারা পোলিং অফিসার হিসেবে ছিলেন তাদের বলা হয়েছে, আপনাদের কোনো কাজ নেই, চাইলে চলে যেতে পারেন, আপনাদের প্রয়োজন নেই। এ বিষয়টা হচ্ছে এমন, আপনি সম্মানের সঙ্গে চলে যান আমরা যা করার তা করব।’
ভোট গণনা সম্প্রচারের এলইডি স্ক্রিন বন্ধ রাখা হয়েছে অভিযোগ করে আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘আমরা দেখেছি কার্জন হলের সামনে ২০ মিনিটের মতো এলইডি স্ক্রিন বন্ধ ছিল। শামসুন্নাহার হলে ১ ঘণ্টা পর এলইডি স্ক্রিন এসেছে। অনেক সাংবাদিক বিভিন্ন ভোট গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন, তাদের সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে তারা আমাদের জানিয়েছেন।’
এছাড়া কয়েকটি কেন্দ্রে আগে থেকে ব্যালট পেপার পূর্ণ করা ছিল বলে অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান আবু বাকের মজুমদার।
এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোট চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। টানা ৮ ঘণ্টা ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। ডাকসুতে এবার মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৪। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ আর ১৩টি ছাত্র হলে ভোটার ২০ হাজার ৯১৫ জন।
এ বছর ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪৭০ জন প্রার্থী। ১৮টি হলের প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে মোট ২৩৪টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১ হাজার ১০৮ জন। ৮টি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে ভোটাররা ডাকসু ও হল সংসদের মোট ৪১টি পদে ভোট দেন।