জাকসু নির্বাচনে ৮ হলের অনানুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা এখনো শেষ হয়নি। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার ৪৪ ঘণ্টা পার হলেও ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।  

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সর্বশেষ আটটি হলের অনানুষ্ঠানিক ফলাফল পাওয়া গেছে, যেখানে ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু ও ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ আরিফের মধ্যে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। এছাড়াও জিএস পদে এগিয়ে আছেন ছাত্রশিবির মনোনীত প্যানেলের মো. মাজহারুল ইসলাম এবং এজিএস পদে এগিয়ে আছেন ফেরদৌস।

সাত হলের অনানুষ্ঠানিক ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু ও ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থী আরিফের মধ্যে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। ১০ নম্বর হলে জিতু পেয়েছেন ১৬২ ভোট, আরিফ পেয়েছেন ১২২ ভোট এবং উজ্জ্বল পেয়েছেন ৪২ ভোট। বঙ্গমাতা হলে জিতু পেয়েছেন ৮৯ ভোট, আরিফ পেয়েছেন ৮১ ভোট। এমএমএইচ হলে জিতু পেয়েছেন ১১১ ভোট আর আরিফের প্রাপ্ত ভোট ১১৬। ফজিলতুন্নেছা হলে জিতু এগিয়ে আছেন ২৫২ ভোট নিয়ে, আরিফ পেয়েছেন ৯৫ ভোট।

এবারের জাকসু নির্বাচনে ১১ হাজার ৭৫৯ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১৭৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন এবং যুগ্ম সম্পাদক (এজিএস) পদে ১৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৬।

নির্বাচনে অংশ নিয়েছে মোট আটটি পূর্ণ ও আংশিক প্যানেল। তবে ভোট গ্রহণ শুরুর পর কারচুপির অভিযোগ তুলে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলসহ পাঁচটি প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে। বর্জনকারীদের মধ্যে রয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতির ঐক্য, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের 'সংশপ্তক পর্ষদ', এবং স্বতন্ত্রদের ‘অঙ্গীকার পরিষদ’। এছাড়া ছাত্র ফ্রন্টের একটি বিভাজিত অংশ এবং কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও ভোটগ্রহণ বর্জনের ঘোষণা দেয়।

এবারের নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোটগ্রহণের জন্য ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।