রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সাত কলেজের চলমান ব্যাচগুলোকে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) গেছে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় এ বিষয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ ও সদস্য অধ্যাপক ড. তানজিম উদ্দিন খানের আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রস্তাবিত সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির রূপরেখায় কেবল নতুন শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অথচ দীর্ঘদিন দরে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া চলমান ব্যাচগুলোর প্রতি কোনো দৃষ্টি দেওয়া হয়নি। এতে করে তারা বৈষম্যের শিকার হবেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষসহ বর্তমানে অধ্যয়নরত সকল শিক্ষার্থীকে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির আওতায় আনতে হবে। সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির আওতায় না আনলে তারা সমান সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। তাই অধ্যাদেশ জারির আগেই চলমান শিক্ষার্থীদের সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি রূপরেখায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যদি তাদের ন্যায্য দাবি অগ্রাহ্য করা হয়, তবে বৃহত্তর কর্মসূচির দিকে যাবে শিক্ষার্থীরা।
সোহরাওয়ার্দী কলেজের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের ফোকাল পার্সন আওলাদ জিসান বলেন, মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক রূপরেখা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে রানিং শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ ব্যাচগুলো উল্লেখ নাই, যা উল্লিখিত।
তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল এক সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ৩টি দাবি করা হয়েছে। ফলে আজ ইউজিসি ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, আলোচনায় যদি ইউজিসি আমাদেরকে বিগত রূপরেখা সংশোধন করে রানিং সকল ব্যাচগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার নিশ্চয়তা প্রদান করে তাহলে আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যাবো, অন্যথায় আলোচনা সভার পরপরই কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।