৩১ ঘণ্টার মধ্যে চারবার আঘাতের পর দেশজুড়ে ভূমিকম্প আতঙ্কের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসির বাসভবনের সামনে শুয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হল ছেড়ে শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসভবনের সামনে শুয়ে পড়েন।
এদিকে, ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ভূত জরুরি পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ফলে কারিগরি বিবেচনায় রোববার বিকাল ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ যথারীতি খোলা থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ সভায় সিন্ডিকেট সদস্যরা যুক্ত ছিলেন।
ভার্চুয়ালি এই সভায় আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখা এবং আবাসিক হলসমূহ খালি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য রোববার বিকেল ৫টার মধ্যে আবাসিক হলসমূহ খালির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সভায় প্রাধ্যক্ষদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
সভায় সাম্প্রতিক ভূমিকম্প ও তৎপরবর্তী ঝাঁকুনির কারণে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক আঘাতের বিষয়টি বিবেচনা করা হয় এবং তাদের সার্বিক নিরাপত্তার দিক সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ সময় বুয়েটের বিশেষজ্ঞ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক এবং প্রধান প্রকৌশলীর মতামত বিশ্লেষণ করা হয়।
মতামতগুলো হলো- ভূমিকম্প পরবর্তী আবাসিক হলসমূহের পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সামগ্রিক ঝুঁকি মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় সংস্কার দরকার। এই ঝুঁকি নিরূপণ ও সম্ভাব্য সংস্কারের স্বার্থে আবাসিক হলগুলো খালি করা প্রয়োজন।