প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫-এর চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারির দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে পরিচয় সংকট, প্রশাসনিক কাঠামোর অনিশ্চয়তা ও একাডেমিক কার্যক্রমের অস্থিরতায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা কলেজ থেকে ইডেন মহিলা কলেজ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
তাদের দাবি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তিন দফা আলোচনার পরও অধ্যাদেশের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থী ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এত আলোচনা–সমালোচনা, মতামত–গ্রহণ ও তিন দফা বৈঠকের পরও অধ্যাদেশ জারির প্রক্রিয়ায় কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। এর ফলে সাত কলেজের পরিচয় সংকট, প্রশাসনিক কাঠামো, একাডেমিক কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ শিক্ষাবর্ষের সেশন–স্থিতিশীলতা নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও গভীর হয়েছে। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীসহ চলমান সব বর্ষের প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থী বর্তমানে এই অনিশ্চয়তার মুখে রয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. নাঈম হাওলাদার বলেন, আমাদের লক্ষ্য এখন শুধুই অধ্যাদেশ। ৩টি সভা শেষ করেও এখনো আমাদের চূড়ান্ত মুক্তির সেই অধ্যাদেশের কোনো গতিশীলতা আমাদের চোখে পড়ছে না। সেই সঙ্গে পরিচয় সংকট ও একাডেমিক কার্যক্রম নিয়ে নানা অনিশ্চয়তার মুখে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীসহ চলমান সব শিক্ষাবর্ষের প্রায় দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী।
তিনি বলেন, আমরা চাই দ্রুতই অধ্যাদেশ জারি করা হোক। সে জন্যই আজ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। কর্মসূচি শেষ করে ঢাকা কলেজ মূল ফটকে এক দফা দাবি ঘোষণা করে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
অন্যদিকে, এরইমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলসহ রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন একটি স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত ১২ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত ধারণা, অসম্পূর্ণ তথ্য বা গুজবের ভিত্তিতে বিভ্রান্তি বা পারস্পরিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি না করে সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করবেন। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের মূল্যবান শিক্ষা জীবন এবং সামগ্রিক শিক্ষা কার্যক্রম যাতে কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার জন্যও বিশেষভাবে আহ্বান জানানো হয়েছে।