বিশ্বখ্যাত রেসলার মার্ক কেরের জীবননির্ভর চলচ্চিত্র ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ মুগ্ধ করল দর্শকদের। আর সেই মুগ্ধতা প্রকাশ পেল ৮২তম ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতায় ছবি প্রদর্শনের পর। যেখানে টানা ১৫ মিনিটের স্ট্যান্ডিং ওভেশন পেয়েছে সিনেমাটি। যা এবারের উৎসবে অন্যতম দীর্ঘ অভিবাদন।
ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রেসলিং দুনিয়ার আরেক কিংবদন্তি ডোয়াইন জনসন, যিনি দ্য রক নামেই বেশি পরিচিত। সোমবার রাতে ছবির প্রদর্শনী শেষে দর্শকদের এমন উষ্ণ অভ্যর্থনায় চোখ ভিজে আসে ৫৩ বছর বয়সী এই তারকার। অতীতে ‘দ্য মমি’, ‘ব্ল্যাক অ্যাডাম’ কিংবা ‘বেওয়াচ’-এর মতো জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেও, এ ধরনের আন্তরিক প্রশংসা তার ক্যারিয়ারে এই প্রথম।
‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’–এ মার্ক কেরের প্রেমিকা ডন স্পেপলসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এমিলি ব্লান্ট। সদ্য অস্কারজয়ী ‘ওপেনহাইমার’-এর পর ফের এই ছবির মাধ্যমে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন তিনি। স্ট্যান্ডিং ওভেশনের সময় জনসনের পাশেই ছিলেন এমিলি। আর সেই আবেগঘন মুহূর্তে দুজনকে জড়িয়ে ধরেন ছবির পরিচালক বেনি সাফদি।
এই ছবি দিয়েই চলচ্চিত্র পরিচালনায় অভিষেক ঘটেছে বেনি সাফদির। অথচ প্রথম সিনেমাতেই যেন বাজিমাত করলেন তিনি। শক্তিশালী কাহিনি, বাস্তবচিত্র এবং অনবদ্য অভিনয়ের সমন্বয়ে ছবিটি হয়ে উঠেছে এক মানবিক ও অনুপ্রেরণামূলক উপাখ্যান।
এক সাক্ষাৎকারে ডোয়াইন জনসন বলেন, ‘আমি এখন ক্যারিয়ারের এমন পর্যায়ে আছি, যেখানে নিজেকে ব্যতিক্রম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করতে চাই। এমন ছবি করতে চাই, যেগুলোর সমাজে প্রভাব পড়বে, যেগুলো মানবিকতা আর মানুষের লড়াইয়ের গল্প বলবে।’
‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ শুধু একটি জীবনীভিত্তিক সিনেমা নয়, এটি একজন মানুষের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। ভেনিস উৎসবে ছবির সাফল্য প্রমাণ করে, জনসনের নতুন পথচলা কেবল দর্শকপ্রিয়তাই নয়, সমালোচকপ্রিয়তাও অর্জন করতে সক্ষম।
ভবিষ্যতে বড় বড় আন্তর্জাতিক পুরস্কারের দৌড়ে ছবিটি কতদূর যেতে পারে- সেই অপেক্ষায় এখন সিনেমাপ্রেমীরা।