বচ্চন পরিবারের অশান্তি নিয়ে মিডিয়ায় গসিপের যেন শেষ নেই। বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, শাশুড়ি জয়া বচ্চন এবং ননদ শ্বেতা নন্দার সঙ্গে নাকি মোটেই মিলছে না ঐশ্বরিয়ার। বাড়ি ছেড়ে মেয়েকে নিয়ে অন্যত্র বসবাস করছেন ঐশ্বরিয়া। । এর ফলেই নাকি টালমাটাল ঐশ্বর্য-অভিষেকের দাম্পত্য। মাস কয়েক ধরেই এমন গুঞ্জন চলছে বলিউডে। এর পেছনে কারনও কম নেই। গত বছর বচ্চনদের দীপাবলি পুজোয় অংশ নেননি বাড়ির বউ ঐশ্বরিয়া। মাস খানেক আগে অনুষ্ঠিত শ্বেতা নন্দার ৫০তম জন্মদিনের পার্টিতেও দেখা যায়নি অভিষেক-ঐশ্বরিয়াকে। এমনকি হোলির দিনেও অভিষেককে নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে রঙের উৎসবে মেতেছিলেন মা-মেয়ে। শাশুড়ি জয়া বচ্চনের জন্মদিনেও শুভেচ্ছা জানাননি ঐশ্বরিয়া।
এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা জোড়াতালি দিয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচ্ছেদ প্রায় চূড়ান্ত ঘোষনা করা হয় ঐশ্বরিয়া-অভিষেকের। ২০শে এপ্রিল ছিল তাদের ১৭তম বিবাহবার্ষিকী। এদিনও দিনভর পরস্পরের জন্য কোনও শুভেচ্ছা বার্তা পোস্ট করেননি তাঁরা। চাপা উত্তেজনার মাঝে এদিন প্রায় মধ্যরাতে একফ্রেমে ধরা দিলেন দুজনে, সঙ্গী তাঁদের বেঁধে থাকার কারণ আরাধ্যা! এদিন ইনস্টায় লাল হৃদয়ের ইমোজি এঁকে এই ছবি শেয়ার করেন ঐশ্বরিয়া।
মায়ের কাঁধে মাথা এলিয়ে রয়েছে আরাধ্যা। মেয়ের মাথায় থুতনি ঠেকিয়ে পোজ অভিষেকের, সেলফিটি তুলেছেন ঐশ্বরিয়াই। আর এই ছবিতে মা-বাবাকে ছাপিয়ে নজর কেড়েছে আরাধ্যা। মাস কয়েকেই যেন অনেকটা বড় হয়ে গেছে সে! তাঁর টানা চোখ, অমলিন হাসি আর নতুন হেয়ার স্টাইলে বুঁদ নেটপাড়া। ঐশ্বরিয়া কন্যার এই ট্রান্সফরমেশন থেকে চোখ ফেরাতে পারছেন না কেউই।
ঐশ্বরিয়ার এই পোস্টটি নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতেও শেয়ার করেছেন অভিষেক। বোঝাই যাচ্ছে ঘরোয়া সেলিব্রেশনেই এই বিশেষ দিনটা কাটিয়েছেন তাঁরা। ২০০৭ সালের ২০শে এপ্রিল বিয়ে সেরেছিলেন তাঁরা, চার বছর পর ২০১১ সালের নভেম্বরে জন্ম আরাধ্যার।
গত মার্চ মাসে অনন্ত-রাধিকার প্রি-ওয়েডিং সেলিব্রেশনে বচ্চন পরিবারের সঙ্গে দেখা মিলেছিল ঐশ্বরিয়ার। তখন মনে করা হয়েছিল অভিমানের বরফ হয়ত গলেছে। বিয়েবার্ষিকীর এই ছবি দেখে অনেকটাই আশ্বস্ত ভক্তরা। তাঁদের দাবি, ডিভোর্সের পুরো জল্পনাই নাকি মিডিয়ার তৈরি!