বিশ্ব এইডস দিবস আজ: আক্রান্তদের মধ্যে ৫৫ শতাংশই বিবাহিত

বিশ্ব এইডস দিবস আজ। এইচআইভি ভাইরাস সংক্রমণের রোগ এইডসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৮৮ সাল থেকে সারা বিশ্বে দিবসটি পালন করা হয়।

রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছর এইচআইভি পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ১৪৩৮ জন। যার মধ্যে সমকামী ৬২২ জন। এইডস রোগীদের মধ্যে পুরুষ ৭৭ জন আর নারী ২২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ১৯৫ জন মারা গেছেন।

এইডসে আক্রান্তদের মধ্যে ৫৫ শতাংশই বিবাহিত। আর অবিবাহিত রয়েছেন ৪০ শতাংশ। বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত রয়েছেন ৫ শতাংশ। তৃতীয় লিঙ্গ ১ শতাংশ রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ শনাক্ত ৪০৬ জন।

গত বছর বিবাহিতদের মধ্যে সংক্রমণের হার ছিল ৬০ শতাংশ। আর অবিবাহিতদের মধ্যে তা ছিল ৩১ শতাংশ। গত বছরের মতো এবারও ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে এইচআইভিতে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, দেশের প্রায় সব জেলা সদরের সরকারি হাসপাতালে এইচআইভি সংক্রমণ পরীক্ষার সুযোগ থাকলেও উপজেলা হাসপাতালে তা নেই। উপজেলা পর্যায়ে এইচআইভি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা দরকার বলে মনে করেন।

সরকারের সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত এইচআইভি সন্দেহভাজন ২ হাজার ৪৯০ জনের স্ক্রিনিং করা হয়। এর মধ্যে এইডস শনাক্ত হয় ১৮৮ জনের। যার মধ্যে নারী রয়েছেন ৩৮, পুরুষ ১৪৬, হিজড়া ৪ এবং সমকামী পুরুষ রয়েছেন ৭১ জন।

এইচআইভি পজেটিভ ব্যক্তিদের মধ্যে বিপরীত লিঙ্গের মানুষের সঙ্গে অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক করায় ১০৭ জন আক্রান্ত হন। ১০ জন মা-বাবা থেকে আক্রান্ত এবং ৪২ জন প্রবাস থেকে আক্রান্ত হয়ে দেশে এসেছেন। এ সময় মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। রোগ শনাক্তের পর চিকিৎসা শুরুর আগেই মারা গেছেন ৭ জন। এইচআইভি সন্দেহে হাসপাতালটিতে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের বেঁধে দেওয়া শর্ত অনুযায়ী, এসডিজি’র এইচআইভিবিষয়ক ৩.৩-এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৯৫-৯৫-৯৫ লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে ৯৫ শতাংশ সম্ভাব্য এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা; ৯৫ শতাংশ সংক্রমিত ব্যক্তিকে চিকিৎসার আওতায় আনা ও ৯৫ শতাংশ চিকিৎসা গ্রহণকারীর ভাইরাল লোড নিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে।