আমের খোসা খাওয়া কতটা নিরাপদ

এখন গ্রীষ্মকাল চলছে এসেছে আমের মৌসুম। ফলের রাজা আমে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। পুষ্টিবিদরা বলছেন, শুধু ফল নয়, খোসাতেও লুকিয়ে রয়েছে নানা উপকারী উপাদান। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আমের খোসা খাওয়া কি ঠিক?

আমেরিকান ওয়েবসাইট হেলথলাইনের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পুষ্টিবিদরা বলছেন, আমের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আরও রয়েছে পলিফেনলস, কেরোটেনয়েডস, ভিটামিন সি ও ই।

এসব উপাদান উপস্থিত থাকায় আমের খোসা অ্যান্টি ডায়াবেটিক ও অ্যান্টি ক্যান্সার গুণ সম্পন্ন। সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে তাই অনেকে আমের খোসা ফেলে দেন না। তবে এ অভ্যাস মোটেও ভালো নয়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

হেলথলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে, মৌসুমি ফল আম চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের ধাপে বেশ কয়েকটি রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। বাজারজাতকরণের সময় আবার দীর্ঘ সময় সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয় ফরমালিনের মতো বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য।

অনেক অসাধু ব্যবসায়ী আবার কাঁচা আম পাকানোর জন্য ব্যবহার করেন কার্বাইডের মতো রাসায়নিক দ্রব্য। তাই আম খেলেও খোসা খাওয়া থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমের খোসার অপকারিতা

চুলকানি ও অ্যালার্জি: আমের খোসায় কামড় দিলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। এ ফলের আঠালো কষ শরীরে লাগলে তা থেকে চুলকানি ও অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস: আমে কীটনাশক ও বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহৃত হয়। এ কারণে ক্ষতিকারক এসব রাসায়নিক দ্রব্য আমের খোসায় বেশি পরিমাণে জমতে শুরু করে। তাই সুস্থ থাকতে খোসা ছাড়িয়ে আম খান।

বিস্বাদ ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ: আম খেতে সুস্বাদু হলেও এর খোসা মোটা ও তিতা। খেতে বিস্বাদ। তাছাড়া আমের খোসা চিবিয়ে খেলে মুখের ত্বকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণও হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

তবে কেউ যদি আমের পাশাপাশি খোসাও খেতে চান তবে অবশ্যই তা শরীরের জন্য নিরাপদ করে খেতে হবে। এজন্য খাওয়ার আগে আমকে অন্তত ২০ মিনিট ভিনিগার কিংবা লবণ-হলুদ পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।